মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে (Parliament) অসংসদীয় শব্দে (Unparliamentary Words) নিষেধাজ্ঞা জারি বিতর্কের রেশ এখনও মেলায়নি। তার মধ্যেই শুরু ফের এক দফা বিতর্ক। শুক্রবার এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার সংসদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি পালন করা যাবে না। এদিন সংসদের দুই কক্ষের সচিবালয় থেকে চলতি বাদল অধিবেশনে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবে কার্যত গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।
১৮ জুলাই সংসদে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন (Monsoon Session)। শেষ হবে ১৩ আগস্ট। তার আগেই সংসদের তরফে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে হিন্দি, ইংরেজি মিলিয়ে প্রায় ৫০টি শব্দকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই শব্দগুলিকে অংসসদীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে পুস্তিকায়। তা নিয়ে কম হইচই হয়নি। যদিও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও শব্দেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। সংসদীয় রীতি মেনে সদস্যরা নিজস্ব বক্তব্য পেশ করতে পারেন।
আরও পড়ুন :কোনও শব্দেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি, সাফ জানালেন লোকসভার স্পিকার
শুক্রবার সচিবালয়ের তরফে জারি করা নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সাংসদরা সংসদ প্রাঙ্গণে কোনও বিক্ষোভ, ধরনা বা অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, স্পিকারের আগাম অনুমতি ছাড়া সংসদ চত্বরে কোনও পামফ্লেট, লিফলেট বা প্ল্যাকার্ড প্রকাশ করা যাবে না। পার্লামেন্টের ভিতরে প্ল্যাকার্ড কঠোরভাবে নিষিদ্ধও করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?
ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, বিশ্বগুরুর সর্বশেষ আক্রমণ...ধরনা নিষিদ্ধ। সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির মতে, এটি গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, এই ধরনের স্বৈরাচারী নির্দেশ জারি করে গণতন্ত্রকে উপহাস করা হচ্ছে। সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে সাংসদের ধর্নার রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা আগেই রাজনৈতিক দলগুলিকে কোনও তথ্য ছাড়াই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন।
+ There are no comments
Add yours