মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় সাময়িক (Gaza Temporary Ceasefire) যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ২৫ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস (Hamas) বাহিনী। প্রায় দু-মাস পর অবশেষে মুক্তি পেলেন ১২ জন থাইল্যান্ডের ও ১৩ জন ইজরায়েলের নাগরিক। প্রথমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের (Red Cross) তরফে খবরটি জানানো হয়। পরে ট্যুইট করে খবরটি নিশ্চিত করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। মুক্ত পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনতে দূতাবাসের আধিকারিকেরা যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাল্টা হিসাবে ইজরায়েলের (Hamas-Israel Conflict) জেলে বন্দি প্যালেস্টাইনিদেরও একটি অংশকে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছে তেল আভিভ।
রেড ক্রসের সদস্যদের হাতে পণবন্দিরা
রেড ক্রসের যে কনভয়ে মুক্ত পণবন্দিদের আনা হচ্ছে, তাতে খানচারেক গাড়ি রয়েছে বলে খবর। এক একটি গাড়িতে অন্তত ছ'জন রয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। সদ্যমুক্তদের ইজরায়েলের (Hamas-Israel Conflict) একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা করা হতে পারে। সেই মতো তৈরি হচ্ছে হাসপাতালটি। পণবন্দিদের মধ্যে কোনও শিশু থাকলে, কী ভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে সে ব্যাপারে আইডিএফ সদস্যদের আগেই বিশদ নির্দেশিকা দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু প্রশাসন। বিনা শর্তেই পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। তারপর রেড ক্রসের সদস্যরা পণবন্দিদের নিয়ে গাজা-মিশর সীমান্ত বরাবর রাফার দিকে রওনা দেন। অন্যদিকে, দু-মাস টানা পণবন্দি থাকার ফলে অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৭ সপ্তাহের বন্দিদশা কাটিয়ে মিশরে পৌঁছেও গিয়েছেন ১৩ জন ইজরায়েলি।
আরও পড়ুন: 'সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত'! চিনে নয়া সংক্রমণ প্রসঙ্গে বিবৃতি কেন্দ্রের
যুদ্ধ বিরতির নানা শর্ত
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল ও হামাস বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হামাস (Hamas-Israel Conflict) বাহিনীকে শিক্ষা দিতে নানা দিক থেকে হামলা চালানোর পাশাপাশি গাজা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে দেয় ইজরায়েল সরকার। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বিরতির অঙ্গ হিসেবে ইতিমধ্যেই অবরুদ্ধ গাজা স্ট্রিপে জ্বালানি এবং রসদ সরবরাহের পথও খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে আগামী চার দিন ধরে ১৫০ জন প্যালেস্টাইনিকে জেল থেকে মুক্তি দেবে। আর হামাস মুক্তি দেবে ৫০ জন পণবন্দিকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours