মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখা হয়েও কথা হল না! গতকাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে মানিককে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানেই দেখা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে। কিন্তু কথোপকথন তো দূর, মানিকের সৌজন্যের ডাকেও সাড়া দিলেন না পার্থ। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam Case) গ্রেফতার হওয়া মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) গতকাল ইডি হেফাজত শেষ হয়। কিন্তু আদালত ফের প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয়। তাঁকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। ফলে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নতুন 'প্রতিবেশী' এখন মানিক ভট্টাচার্য অর্থাৎ এখন থেকে পার্থর সেলের পাশেই থাকবেন মানিক।
গতকাল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা ২২ ওয়ার্ডেই রাখা হয়েছে তাঁকে। অর্থাৎ পার্থর সঙ্গে একই ওয়ার্ডে থাকবেন মানিক। জেলসূত্রে খবর, গতকাল যখন মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পার্থর সেলের সামনে দিয়ে মানিক হেঁটে যাচ্ছিলেন আর তখনই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে সৌজন্যবশত ডেকে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘পার্থদা, কেমন আছেন?’ কিন্তু তাঁর কোনও উত্তর এল না। জানা গিয়েছে, মানিককে দেখেই সেলের ভিতর দিকে মুখ করে ঢুকে যান পার্থ। আর বাইরে ঘুরেও তাকাননি। সাড়া না পেয়ে তারপর মানিকও হেঁটে হেঁটে চলে যান সেলের দিকে।
প্রসঙ্গত, একসময় মানিক ও পার্থর যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তা বিভিন্ন তথ্য থেকে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতে ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছিল, তাতেও নাম রয়েছে মানিকের। মোবাইল ঘেঁটে তদন্তকারীরা দেখেছেন, মানিকের সঙ্গে পার্থর হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু কথোপকথন হয়েছে। এমনকি মানিক যে টাকা নিতেন, সেই বিষয়টিও পার্থকে জানিয়েছিলেন কেউ বা কারা। আর সে সব মেসেজ নাকি মানিককেই পাঠিয়ে দিতেন পার্থ। আবার অনেকে বলেন, মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান করার পিছনে ছিলেন পার্থই। ফলে এমন অভিযোগ সামনে আসার পর আরও জোরদার তদন্ত শুরু হয়। এরপর সেই পার্থই গতকাল মানিকের ডাকে সাড়া দিলেন না।
+ There are no comments
Add yours