মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ১৬ বছর। ইতিমধ্যেই কেবল ভারত (India) নয়, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে জাল বিস্তার করেছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI)। বৃহস্পতিবারই দেশজুড়ে পিএফআই নেতা-কর্মীদের বাড়ি ও অফিসে চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর নথিপত্র এবং নগদ টাকা। তার পরেই উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। গোয়েন্দাদের দাবি, ভারত ছাড়াও একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রে জাল বিস্তার করেছে পিএফআই।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি করা হয় পিএফআই। ২০০৬ সালে কেরলে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী কালে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ তিনটি সংগঠন মিলিত হয়ে তৈরি হয় পিএফআই। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখাও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার গোটা দেশের ১৩টি রাজ্যে পিএফআইয়ের অফিসগুলিতে তল্লাশি চালায় এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করেছে বিভিন্ন রাজ্য পুলিশও। পিএফআইয়ের ৪৫ জন নেতা সহ গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় দুশোজনকে। সূত্রের খবর, উপসাগরীয় দেশগুলিতে পিএফআই তিনটি নামে সংগঠন চালায়। এগুলি হল ইন্ডিয়া ফ্র্যাটারনিটি ফোরাম (IFF), ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ফোরাম (ISF) এবং রিহ্যাব ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন (RIF)। বিদেশে ভারত বিরোধী নানা কাজে লিপ্ত এই সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন : টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস
জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়া ফ্র্যাটারনিটি ফোরাম এবং ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ফোরাম মধ্য প্রাচ্যে পোক্ত সংগঠন গড়ে তুলেছে। দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। জামাত-ই-ইসলামির ধর্মীয় কয়েকজন নেতা এবং পিআইএফ নেতারা প্রায়ই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পরিদর্শন করেন। কেবল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি নয়, ওমান, কাতার, কুয়েত, তুরস্ক, পাকিস্তান মায় বাংলাদেশেও জাল বিছিয়েছে পিএফআই। বাহরিন, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপেও পা রেখেছে এই সংগঠন। পিএফআইয়ের এক ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয় লখনউ থেকে। তখনই জানা যায় বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ ভারতে বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours