Varieties of Mango: আ-আমটি খাব পেড়ে...আমের অ-আ-ক-খ
2022-05-12 17:34:33
ফলের রাজা আম। গরম পড়লেই মনটা আম-আম করে। স্বাদে,পুষ্টিতে ও গন্ধে আম অতুলনীয়। আমে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’ বা ক্যারোটিন, ভিটামিন ‘সি’, খনিজ পদার্থ ও ক্যালরি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ এর দিক থেকে আমের স্থান পৃথিবীর প্রায় সব ফলেরই উপরে।
আলফানসো আম (যা 'কাকডি হাপুস' নামেও পরিচিত অর্থ হচ্ছে কাগজের মতো পাতলা খোসা।) উপমহাদেশের সবচেয়ে দামি আম এটি। ভারতে উৎপন্ন হওয়া সবচেয়ে উন্নত জাতের আম হল মহারাষ্ট্রের আলফানসো। এই আম বিদেশেও রফতানি করা হয়।
হিমসাগর । বাজারে এই আমের প্রাধান্য বেশি। ক্ষীরশাপাতি নামেও পরিচিত এই নাম। পশ্চিমবঙ্গেই এই আম সবচেয়ে বেশি মেলে। স্বাদ ও গন্ধের জন্য আমের মধ্যে সেরা হিমসাগর।
ইমাম পাসান্দ তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর কিছু অংশে এই আমের ফলন হয়। মে এবং জুন মাসে এই আম পাওয়া যায়। ইমাম পাসান্দকে তার অনন্য স্বাদের জন্য আমের বাদশাহ হিসাবে ধরা হয়। এর ত্বক অত্যন্ত নরম। এই আমের আকৃতি আনুসারে তার দাম নির্ধারণ করা হয়। একটি আম যত বড় তার দামও তত বেশী।
গোলাপের গন্ধময় গোলাপখাসের স্বাদ এমন যে আম প্রেমীরা এটি ভালোবাসতে বাধ্য হবেই। এই ফলের গায়ে হালকা গোলাপী আভা বা লাল ত্বক রয়েছে। এর খোসা আম দিয়ে মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মে থেকে জুনের মধ্যে পাওয়া যায়। গোলাপখাস আম আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট। এটি ঝাড়খণ্ডের প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
অন্ধ্রপ্রদেশের নিলম আম ভারতের প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। রসালো এই ফল বাজারে একটু দেরিতে আসে। এগুলো আকারে লম্বা হয়।
হালকা হলুদ রঙের জারদালু আম খেতে বেশ লাগে। টক-মিষ্টির মিশেলে এই আম আপনাকে অন্য স্বাদ দেবে। বিহারের ভাগলপুরে সবচেয়ে বেশি এই আম পাওয়া যায়।
মনকুরাদ গোয়ার সবেচেয়ে জনপ্রিয় আম। মানকুরাদ আমটি মাঝারি আকৃতির হয়। খুব মিষ্টি,সাধারণত এপ্রিলের শুরুতেই স্থানীয় বাজারে এই আম পাওয়া যায়।
আম ভারতের জাতীয় ফল হিসাবে পরিচিত। তাই দেশের সব রাজ্যেই প্রায় কম-বেশি আম উৎপন্ন হয়। বাদ যায়নি মরুপ্রদেশ রাজস্থানও। এখানকার সাদা-বাহার আমের মিষ্টতা অনেককে পিছনে ফেলে দেবে।
ল্যাংড়া। বাজারে এই আম একটু দেরিতে আসে। পশ্চিমবঙ্গের মালদায় বেনারসে এই আম বিখ্যাত। বেনারসি ল্যাংড়ার চাহিদা জগৎজোড়া। এর বাইরেটা সবুজ, ভেতরটা কমলা।
টক-মিষ্টির মিশেলের জন্যই গুজরাতের আম পৈরি প্রসিদ্ধ। এই আম বাজারে একটু আগেই চলে আসে। এপ্রিল-মে-জুন তিন মাস এই আম পাওয়া যায়।
ভারতে যে প্রজাতির আম চাষ হয় তার বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica। তবে এ দেশে উৎপাদিত আমের প্রজাতিও অনেক। এর মধ্যে গুজরাতের বনরাজ উল্লেখযোগ্য। লাল রঙের এই আম আকারে খানিকটা ডিমের মতো। এই প্রজাতির আম একটু পরের দিকে বাজারে আসে এবং দুর্গাপুজোর আগে পর্যন্ত থাকে।
তোতাপুরী ভারতের তথ্যপ্রযুক্তির প্রানকেন্দ্র বেঙ্গালুরু "তোতাপুরী" আমের জন্য বিখ্যাত, এটি বঙ্গোলোরা বা সন্দেরশা নামেও পরিচিত। মাঝারি আকারের সবুজ ও হলুদ মেশানো গায়ের রঙ। মে থেকে জুলাই অবধি পাওয়া যায়, তোতাপুরীও আমাদের দেশে স্বাদ ও গন্ধযুক্ত একটি উল্লেখযোগ্য জাতের আমের অন্যতম!তোতাপুরী ভারতের তথ্যপ্রযুক্তির প্রানকেন্দ্র বেঙ্গালুরু "তোতাপুরী" আমের জন্য বিখ্যাত, এটি বঙ্গোলোরা বা সন্দেরশা নামেও পরিচিত। মাঝারি আকারের সবুজ ও হলুদ মেশানো গায়ের রঙ। মে থেকে জুলাই অবধি পাওয়া যায়, তোতাপুরীও আমাদের দেশে স্বাদ ও গন্ধযুক্ত একটি উল্লেখযোগ্য জাতের আমের অন্যতম!
রসপুরী ভারতের দক্ষিণে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরু, কলার, রামনগড়ায় এই পাওয়া যায়। আমটি সাধারণত মে এবং জুনের মধ্যে বাজারে আসে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে এই প্রজাতির আম চাষ করা হয়। সঠিক সময়ে চাষ করলে ডিম্বাকৃতি রসপুরী আম স্বাদ এবং রসের দিক থেকে অন্য যে কোনও আমকে টেক্কা দিতে পারে।
কর্ণাটকের সিন্দুরা আমের চাহিদা তুঙ্গে। লাল-হলুদের ছোঁয়ায় এই আম সকলের মন কাড়ে। মূলত সরবৎ বানাতে এই আম ব্যবহার করা হয়। এতই মিষ্টি যে একে মধুর সঙ্গেও তুলনা করা হয়।
