Raw Mango: হার্ট সুস্থ রাখা থেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ! কী কী গুণ রয়েছে কাঁচা আমের?
গরমের তাপপ্রবাহে স্বস্তি দিতে পারে কাঁচা আমপোড়া সরবত। কিংবা বাঙালির শেষ পাতে চাটনিও হয় এই আম দিয়ে। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে কাঁচা আম। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাঁচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।
কাঁচা আমে শর্করার পরিমাণ খুবই কম। যে কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়না । ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসেই খেতে পারেন কাঁচা আম।
হার্ট সুস্থ রাখে কাঁচা আম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা আম ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। এই দু'টি উপাদান রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি হার্টও সুস্থ রাখে।
ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং একাধিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে কাঁচা আমে। এই সব উপাদান শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাঁচা আম। কাঁচা আমের মধ্যে রয়েছে অ্যামাইলেস নামক পাচক এনজাইম। ফলে খাবার খুব ভালো ভাবে হজম হয়।
কাঁচা আমে খুব কম ক্যালোরি থাকে। এতে ফ্যাট, কোলেস্টেরল এবং চিনিও কম থাকে। যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁরা ডায়েটে রাখতেই পারেন কাঁচা আম।
শরীর সুস্থ রাখতে ডিটক্সিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা আমের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।
কাঁচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন থাকে কাঁচা আমে। চোখের রেটিনা ভালো রাখতে এই দু'টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী।
কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে ৷
গরমের সময় আমাদের ত্বকে র্যাশ বা ঘামাচির মতো সমস্যা তৈরি হয়। যা খুবই অস্বস্তিকর ব্যাপার। ঘামাচি বা র্যাশ বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল কাঁচা আম খাওয়া।
Tags: