Monsoon Health Tips: বর্ষায় সর্বদা তরতাজা থাকতে চান? মেনে চলুন এই ৬টি অভ্যাস
2024-07-06 15:53:35
তীব্র তাপপ্রবাহের পরে অবশেষে হাজির হয়েছে বর্ষা। ভিজছে বাংলা। স্বস্তি পাচ্ছে মানুষ। বর্ষাকালে সাধারণত কাজের এনার্জি একটু কম থাকে এবং মানুষের ক্লান্তি ভাবটা বেশি অনুভূত হয়। তার কারণ তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল, আমাদের প্রতিদিনকার রুটিনে কিছু বদল আনতে হবে যা এনার্জি লেভেলকে সঠিক রাখবে। দৈনন্দিন কাজ আমরা করতে পারব। সুস্থ থাকব সারাদিন। এমনই ছটি অভ্যাস নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব যা বর্ষার সময় করার উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষার দিনটা শুরু হোক গরম জল দিয়ে। গরম জল শরীরকে তরতাজা রাখবে এবং রক্ত সঞ্চালনকে বাড়াবে। যে কোনও হারবাল চা অথবা আদার জল অথবা তুলসী- এ সমস্ত কিছুও খাওয়া যেতে পারে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, আদার চা মেটাবলিজমকে বাড়াতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রতিদিনকার শরীর চর্চা মেটাতে পারে অনেক রোগই। সারাদিন কাজের এনার্জিও বজায় রাখে। কিন্তু বর্ষার সময় কখন বৃষ্টি আসে বলা যায় না। তাই বাড়ির ভিতরেই শরীরচর্চা করতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শরীরচর্চায় রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা এবং সারা দিনে কাজ করার এনার্জিও পাবেন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন বর্ষার সময়ে সূর্য রশ্মির অভাবের ফলে মুড সুইং হয়। এর পাশাপাশি অলসতা আঁকড়ে ধরে। এই সময়ে মাইন্ডফুলনেস কিছু অভ্যাস এবং রিলাক্সেশন টেকনিক, যেমন- ধ্যান, মিউজিক শোনা আমাদের স্ট্রেস এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখবে।
বর্ষাকালে ডায়েট মেনেই খাওয়া উচিত করে চলাই উচিত এবং সেই সমস্ত খাবার তালিকায় রাখুন যা এনার্জিকে অনেকটাই বাড়াতে সাহায্য করবে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যে খাবারগুলোতে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যেমন ওটস, ব্রাউন রাইস এগুলি আপনাকে অনেকক্ষণ ধরে কাজ করতে শক্তি জোগাবে। ভিটামিন ও মিনারেল সংক্রান্ত খাবার যেমন তাজা ফল শাকসবজি যা আপনার শরীরে ক্লান্ত থেকে দূর করবে।
মনোবিদরা বলছেন কাজের জায়গা এবং ঘর যত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে কাজ করার এনার্জি অথবা বাড়তে থাকে। অন্যদিকে, অগোছালো জিনিসপত্র, অস্বচ্ছত পরিবেশ হলে অলসতা আঁকড়ে ধরে। তাই বর্ষার সময়ে জানলা খোলা রাখুন, যখন বৃষ্টি হবে না। ঘরের মধ্যে টবের ভিতর গাছ লাগান।
যে কোনও রোগের সব থেকে খাঁটি ওষুধ হল পর্যাপ্ত ঘুম। আমাদের মনে রাখতে হবে দিনের মাথায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুম যে কোনও রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। স্বাভাবিক ঘুম অলসতাও দূর করে।
এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।