প্রবল বৃষ্টি ও ধসে বেহাল অবস্থা উত্তর সিকিমের। টানা কয়েকদিনের চেষ্টার পর বড় সংখ্যক পর্যটককে উদ্ধার করতে পেরে স্বস্তিতে সিকিম প্রশাসন। লাচুং এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে অধিকাংশ পর্যটকদের উদ্ধার করা গিয়েছে।
প্রথমে তাঁদের মংগনে এবং তারপর গ্যাংটকে ফিরিয়ে আনা হয়। উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের অধিকাংশ বাঙালি হলেও, সেই সংখ্যাটা কত, তা এদিন সিকিম প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়নি। তবে এদের মধ্যে ১৫ জন বিদেশি পর্যটক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
মংগনের জেলা শাসক হেমকুমার ছেত্রী বলছেন, ‘বিআরও, এনডিআরএফ, এসডিআরএফের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়েছে পর্যটকদের। তাঁদের গ্যাংটকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকেই ভালো রয়েছেন। সমতলে নামিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে প্রশাসনের তরফে।’
সিকিমে পর্যটকদের উদ্ধারে সদা সচেষ্ট ভারতীয় সেনার ত্রিশক্তি কোর। মঙ্গলবার দিনভর উদ্ধারকাজ চালিয়ে প্রায় ৮০০ জনকে নিরাপদে বাইরে নিয়ে এসেছে সেনা। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই উদ্ধার কাজ শুরু করে সেনা।
সেনার তরফে অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। উচ্চতা এবং ঠান্ডায় এক ২৪ বছরের যুবকের প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য সেনার তরফে অক্সিজেন এবং জীবনদায়ী সবরকম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পাশাপাশি সেনার তরফে শীতবস্ত্র, গরম খাবারও দেওয়া হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, সেনার মেডিক্যাল অফিসারেরা এখনও পর্যন্ত ১১৫জনের প্রাথমিক চিকিৎসা করেছেন।
ভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধসের জন্য সিকিমের নানা সড়ক অবরুদ্ধ। সেই রাস্তা পরিষ্কার করতেও হাত লাগিয়েছে সেনা। বিদ্যুতের খুঁটির রিপেয়ারিং থেকে শুরু করে অস্থায়ী টেলিফোন বুথ তৈরি করে সেনা। এই বুথ থেকেই আটক পর্যটক ও স্থানীয়রা তাঁদের প্রয়োজনমতো কথা বলে।
টানা বৃষ্টি এবং বার বার ধসের কারণে টানা উদ্ধারকাজ না-চালিয়ে দফায় দফায় কাজ করছিলেন সেনা কর্মীরা।
গত ১১ জুন থেকে সিকিমে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক পথ। ডিকচু-সংকলন-টুং, মংগন-সংকলন, সিংথাম-রাংরাং এবং রাংরাং-টুং সহ উত্তর সিকিমের দিকে যাওয়ার একাধিক রাস্তা ভারী বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।