Noida Supertech: সুপারটেকের আবর্জনা সরাতে ১০০০ ট্রাক! ৮০ হাজার টন ধ্বংসস্তূপ সাফ করাই চ্যালেঞ্জ
৯ সেকেন্ডেই ধ্বংস ৪০ তলা জমজ অট্টালিকা। কিন্তু তার আবর্জনা সরাতে সময় লেগে যাবে প্রায় তিন মাস। এমনটাই দাবি নয়ডা পৌরসংস্থার।
এই জমজ অট্টালিকা ভেঙে ৮০ হাজার টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে ঘটনাস্থলে।
৮০ হাজার টন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ৩০ হাজার টন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে নয়ডার ৮০ নং সেক্টরে ‘কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেমলিশন ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট’-এ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে এই ধ্বংসাবশেষের প্রক্রিয়াকরণ হবে। বাকি ধ্বংসাবশেষ ঐ বিল্ডিং- এর বেসমেন্টের গর্তে রেখেই গর্ত ভরে দেওয়া হবে।
রোজ ৩০০ টন করে ধ্বংসাবশেষের প্রক্রিয়াকরণ করা হবে।
এই আবর্জনা সরাতে ভারতের সব থেকে বড় আকারের ১০০০টি ট্রাককে বরাত দেওয়া হয়েছে। প্রতি ট্রাকে ৫৫ টন আবর্জনা নিয়ে যাওয়া হবে।
বহুতল ভাঙতে মোট খরচ হবে ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা নির্মাণকারী সংস্থার তরফে এবং বাকি টাকা যমজ অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করে তোলা হবে।
বিস্ফোরণের জেরে যে দূষণ হয়, তা কমাতে এলাকায় ১১টি স্মগ গান ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি স্মগগান মোতায়েন করা হয়েছে পর্ষবন্থের সার্ভিস রোডের পাশে, ৩টি মোতায়েন করা হয়েছে সিটি পার্ক থেকে এটিএস পর্যন্ত এলাকায়, ২টি গেঝা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে, একটি করে স্মগ গান জেপি ফ্লাইওভারের কাছে, এলডেকোর পাশে, পান্না কোর্টের সামনে এবং টুইন টাওয়ারের কাছে মোতায়েন করা হয়।
ওই এলাকার ৫০০০ বাসিন্দাকে ওই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যে সাতটার পর অনুমতি মিললে তাঁদের ফেরানো হবে।
আশেপাশের এলাকার গাছ পরিষ্কার করতে ওয়াটার স্প্রে করা হচ্ছে।
ওই বিল্ডিং দুটির পাশের কোনও বিল্ডিং- এ কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন নয়ডার সিইও ঋতু কুমার। শুধু পাশের একটি বিল্ডিং -এর ১০ মিটার প্রাচীরের ৯০০টি ইট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কিছু বিল্ডিং- এর জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। তা বদলানোর কাজ চলছে।
ওই এলাকার গ্যাস, জল এবং ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই স্বাভাবিক হয়েছে ইতিমধ্যেই।
Tags: