সেজে উঠেছে উজ্জ্বয়িনী। আজকের দিনটি উজ্জ্বয়িনীর জন্য একটি বিশেষ দিন। কারণ আজ, মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জ্বয়িনী শহরে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মহাকাল লোকের উদ্বোধন করতে চলেছেন। আজ তিনি মহাকালেশ্বর মন্দিরের করিডর প্রকাশ্যে আনবেন। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর (Ujjain) বিখ্যাত মহাকালেশ্বর মন্দির (Shree Mahakaleshwar Temple) । সেই মন্দির এলাকাকেই নতুন করে সাজিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। সাজানো হয়েছে মন্দির সংলগ্ন এলাকাও। বিশেষ এই করিডরের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘মহাকাল লোক’ (Mahakal Lok)। দুই ধাপে শেষ হবে এই ‘মহাকাল লোক’ তৈরির কাজ। খরচ হবে ৮৫৬ কোটি টাকা। ‘মহাকাল লোক’ প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেল সাড়ে ৫ টায় উজ্জ্বয়িনী পৌঁছবেন এবং সেখান থেকে তিনি সরাসরি মহাকাল মন্দিরে যাবেন।
উজ্জ্বয়িনীতে অবস্থিত মহাকালেশ্বর মন্দিরটি ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। এটিই একমাত্র দক্ষিণমুখী জ্যোতির্লিঙ্গ।
‘মহাকাল লোক'-এর অন্যতম আকর্ষণ নন্দী দ্বার বা নন্দী গেট। পাথরের উপর দেবদেবীদের কাহিনি খোদাই করে সাজানো হয়েছে গোটা 'মহাকাল লোক' এলাকা।
৯০০ মিটারেরও বেশি দীর্ঘ 'মহাকাল লোক' করিডোর পুরানো রুদ্রসাগর হ্রদের চারপাশে তৈরি করা হয়েছে।
মহাকাল লোকে তৈরা করা হয়েছে ১০৮টি স্তম্ভ। প্রতিটি স্তম্বে পাথরে খোদাই করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পৌরাণিক কাহিনি।
প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে মহাকাল লোক নির্মিত হয়েছে। ১০৮টি ভাস্কর্য এবং ৯৩টি মূর্তি করিডরে বসানো হয়েছে। যা থেকে শিবের বিয়ে, ত্রিপুরাসুর বধ, শিবপুরাণ, শিব তাণ্ডব-সহ বিভিন্ন বিষয়ে জানা যাবে।
সমস্ত ভাস্কর্যে কিউআর কোড দেওয়া হয়েছে। এগুলোতে আপনি স্ক্যান করলেই, আপনি ভগবান শিবের মহিমা এবং গল্প শুনতে পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ মহাকাল লোকের শঙ্খ দ্বার হয়ে মন্দিরে প্রবেশ করবেন এবং পূজা শেষে নন্দী দ্বার থেকে বেরিয়ে আসবেন।
মহাকালেশ্বর শিবলিঙ্গে জল নিবেদন বিকেল ৫টার পর বন্ধ হয়ে যায়, তাই প্রধানমন্ত্রী ভগবান মহাকালকে জল দিতে পারবেন না।
মহাকাল উদ্বোধনের পরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষিপ্রা নদীর তীরে গিয়ে কিছু সময়ের জন্য প্রার্থনা করবেন।
এরপরেই তিনি কার্তিক মেলা মাঠের সভাস্থলে পৌঁছবেন। এখানে তিনি জনসভায় ভাষণ দেবেন। এ সময় অনেক ভিআইপিও এখানে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলে দুশোর বেশি সাধু-সন্ন্যাসী উপস্থিত থাকবেন।
উল্লেখ্য, মোদি পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী যিনি মহাকাল মন্দিরে আসবেন। এর আগে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, মোরারজি দেশাই, ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীও বাবা মহাকাল দর্শন করেছেন।
১৪ অক্টোবর থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে যাবে ‘মহাকাল লোক’-এর দরজা।