মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীরের অমরনাথ তীর্থক্ষেত্র। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অমরনাথ গুহা এবং কালীমাতার মাঝামাঝি এলাকায় অল্প সময়ের মধ্যে প্রবল বৃষ্টি হয়। তা থেকে প্রবল জলস্ফীতি এবং প্লাবনে ২৫টি পুণ্যার্থীর শিবির ভেসে গিয়েছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পৌঁছেছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। গুহার উপরেই জমাট বাঁধা মেঘের সৃষ্টি হয়েছিল। যা থেকেই অঝোর বৃষ্টি, জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের আবহাওয়া দফতর।
ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশ হেলিকপ্টার নিয়ে পৌঁছেছে এলাকায়। তারা জানিয়েছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে অমরনাথের গুহার উপর থেকে হঠাৎ করেই জল নামতে শুরু করে।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, পুণ্যার্থীদের খাবার এবং আশ্রয় দেওয়ার বেশ কয়েকটি লঙ্গরখানা ভারী বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে। এই ঘটনায় অন্তত ১৬ জন মারা গিয়েছেন। জখম হয়েছেন ৬০ জন। নিখোঁজ অন্তত ৪০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও পারে বলে আশঙ্কা।
উদ্ধার অভিযান তদারকি করতে শনিবার ভোরে অমরনাথ পবিত্র গুহায় পৌঁছেছেন আইজিপি কাশ্মীর এবং কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনার। একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার উদ্ধারে কাজে লাগানো হচ্ছে।
আধাসামরিক বাহিনীর চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা বন্যায় গুরুতর আহতদের চিকিৎসা করেছেন। পবিত্র গুহা থেকে আগত তীর্থযাত্রীদের সহায়তা করার জন্য নীলগ্রাথ হেলিপ্যাডে একটি ছোট বিএসএফ দলও মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার সকালে বহু রোগীকে বিমানে বালতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বর্তমান অবস্থার জেরে অমরনাথ যাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। অন্তত ১৫ হাজার তীর্থযাত্রী, যাঁরা অমরনাথ পবিত্র গুহার কাছে আটকা পড়েছিল, তাদের অপেক্ষাকৃত নীচে পাঞ্জতারনির বেস ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয়।
এলাকা জলে ডুবে গিয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যাত্রা স্থগিত থাকবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এনডিআরএফ, বিএসএফ, এসডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে। আর্মির ৬টি উদ্ধারকারী টিম ঘটনাস্থলে রয়েছে। ছবি সৌজন্য: প্রতিরক্ষামন্ত্রক