Active Volcano: 'ভয়ঙ্কর সুন্দর', হাওয়াই- এর মাউনা লোয়া অগ্নুৎপাতের কিছু স্বর্গীয় ছবি দেখে নিন
প্রায় ৪০ বছর পর আবার জেগে উঠল হাওয়াই দ্বীপের একদম উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মাউনা লোয়া।
বন্ধ রাখা হয়েছে জাতীয় উদ্যান, নিষেধ পাহাড়ে ট্রেকিং।
রবিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাউনা লোয়া থেকে লাভা উদ্গীরণ শুরু হয়।
রবিবার এই এলাকায় বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভব করার পরই আশঙ্কা ছিল যে, অগ্নুৎপাত হতে পারে। মাউনা লোয়া (Hawaii's Mauna Loa) সামিটের উত্তর দিকের একটি ইউএসজিএস ওয়েবক্যামে রাতের অন্ধকারে আগ্নেয়গিরির গর্তের মধ্যে দীর্ঘ উজ্জ্বল বিস্ফোরিত ফাটল দেখা গেছে।
কাছে সে রকম কোনও জনবসতি না থাকায় সে রকম চিন্তার কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন আমেরিকার ভূতাত্ত্বিকেরা।
লাভা স্রোতে ঢালের নীচে বসবাসকারীদের সমস্যা হবে না বলেই ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভিস (ইউএসজিএস)। তবে, সংস্থাটি সতর্ক করেছে যে, আগ্নেয়গিরির গ্যাস এবং সূক্ষ্ম ছাই আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করতে পারে।
মাউনা লোয়া আগ্নেয়গিরির শৃঙ্খলের অংশ যা হাওয়াই দ্বীপগুলি তৈরি করেছিল।
এই আগ্নেয়গিরিতে শেষবার ১৯৮৪ সালের মার্চ এবং এপ্রিলে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। দ্বীপের বৃহত্তম শহর হিলোর ৮ কিলোমিটারের মধ্যে গরম লাভার স্রোত বয়েছিল।
সেখানকার প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে একটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। কিন্তু এখনও কাউকে বাড়ি ছাড়তে বলেনি। প্রশাসনের মনে ওই লাভা জনবহুল এলাকার কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।
ইতিমধ্যেই দ্বীপপুঞ্জের বাতাসে মিশেছে আগ্নেয়গিরির ছাই। হাওয়াইয়ের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস বিগ আইল্যান্ডে অ্যাশফল অ্যাডভাইজরি জারি করেছে। শ্বাসকষ্ট হয় এমন ব্যক্তিদের বাড়ির ভিতরেই থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ক্ষেত্রে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।
Tags: