মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো ফল এবার করেছে বিজেপি। ভোটভাগের শতকরা হিসেবে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। উপতক্যায় ২৫.৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি, যা জম্মু-কাশ্মীরে সব চেয়ে বেশি আসন পাওয়া ন্যাশনাল কনফারেন্সের থেকেও দুই শতাংশ বেশি। এর জন্য উপত্যকাবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।
গণতন্ত্রের জয়
দশ বছর পর নির্বাচন হল জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। ভোটের ফলাফল সরিয়ে রেখে এই নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। গতকাল ভোটের ফল ঘোষণার পর এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের এই নির্বাচন খুবই স্পেশাল ছিল। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর প্রথম নির্বাচন হল সেখানে। ভোটদানের হার এবার উল্লেখযোগ্য। এর অর্থ মানুষ গণতন্ত্রে আস্থা রেখেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিটি মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।” সেই সঙ্গেই তিনি লেখেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত। যাঁরা আমাদের দলকে ভোট দিয়েছেন এবং আমাদের উপরে বিশ্বাস রেখেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি জনতাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নতির জন্য কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের কার্যকর্তাদের অসামান্য চেষ্টারও তারিফ করতে চাই।’
ভালো ফল বিজেপির
জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) সরকার গড়ছে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট। তবে এখানে একক ভাবে ভালো ফল করেছে বিজেপি। ইন্ডিয়া জোটের তিন শরিক মিলে পেয়েছে ৪৯টি আসন। তার মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স একাই পেয়েছে ৪২টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৬টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপি একাই পেয়েছে ২৯টি আসন। বিজেপি ২৯টি আসনই জিতেছে জম্মু ডিভিশনে। এই ডিভিশনের ভোটাররা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলকে সমর্থন জানিয়েছেন। সরকার গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যা না পেলেও, জম্মু ও কাশ্মীরে ক্রমশ বাড়ছে বিজেপির আসন। ২০০২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র একটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ২০০৮ সালে তা বেড়ে হয় ১১টি আসন। ২০১৪ সালে আরও ১৪টি আসন বেশি পায়। আর এবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার ইতিহাসে নিজেদের সব চেয়ে বেশি আসন জিতেছে বিজেপি। বেড়েছে প্রাপ্ত ভোটের হারও। ২০১৪ সালে বিজেপি পেয়েছিল ২২.৯৮ শতাংশ ভোট। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৫.৬৪ শতাংশ। জম্মু ও কাশ্মীরে দলের এই ফলে ‘গর্বিত’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours