PM Modi: প্রথমবার অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি, জানুন সফরের গুরুত্ব

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানাবেন। ২২ জুন একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে...
modi
modi

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’বছরের মেয়াদে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে যাচ্ছেন আমেরিকা (America)। ২২ জুন তিনি আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden)। সেদিনই প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইউএসএর হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারআইন জিনপিয়েরে জানান, রাষ্ট্রপতি ভবনের এবং আমেরিকান ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন রাষ্ট্রীয় যাত্রায় যাওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানাবেন। ২২ জুন একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সফরের বিশেষত্ব...

স্টেট ভিজিটের বিশেষত্ব হল, যে ব্যক্তিকে কোনও রাষ্ট্র আমন্ত্রণ জানায়, তাঁর সম্মানে নৈশভোজ দেওয়া হয়। তাঁর সফরের পুরো খরচটাই বহন করে হোস্ট বা আমন্ত্রণকারী দেশ। জানানো হয় বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মানও। অতিথির সম্মানে ২১টি তোপধ্বনি দেওয়ার রেওয়াজও রয়েছে। আমন্ত্রণকারী এবং আমন্ত্রিত দেশের সম্মানে বাজানো হয় দুই দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত। উপহার আদানপ্রাদান করেন রাষ্ট্রপ্রধানরা। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একাধিকবার আমেরিকা গিয়েছেন মোদি। এবারই প্রথম তিনি যাচ্ছেন স্টেট ভিজিটে। হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য দুই দেশই দায়বদ্ধ। তাছাড়াও প্রতিরক্ষা, পরিবেশ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কৌশলগত বোঝাপড়া রয়েছে দুই দেশের।

আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

মোদির (PM Modi) আমেরিকা সফর এই বিষয়গুলিকে আরও জোরদার করবে বলে দাবি বাইডেন প্রশাসনের। সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে কূটনৈতিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে তুলে ধরবে এই সফর। প্রযুক্তি, বাণিজ্য, শিল্প সহ একাধিক ক্ষেত্রে, যেখানে দুই দেশেরই পারস্পরিক আগ্রহ রয়েছে, তা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সুযোগ পাবেন রাষ্ট্রনেতারা।

আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিংহ সান্ধু বলেন, বাইডেনের আমন্ত্রণে মোদির (PM Modi) এই আমেরিকা সফর ঐতিহাসিক। প্রধানমন্ত্রী এবং বাইডেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবেন। এই সফর দুই দেশের প্রধানের কাছেই একটা সুবর্ণ সুযোগ।কূটনীতিকদের মতে, স্বাধীন ও মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নীতি সংক্রান্ত আলোচনা হতে পারে। কারণ দুই দেশের তরফেই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসনের বিরোধিতা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২১ সালে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles