মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিমদের বহুবিবাহ প্রথা (Polygamy) এবং নিকাহ হালাল কী ভারতবর্ষের সংবিধান স্বীকৃত? আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের এই পিটিশনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার ৫ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করার কথা জানান। জানা যাচ্ছে পূর্ববর্তী ৫ সদস্যের যে বেঞ্চ ছিল তাদের মধ্যে ২ সদস্য বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত অবসর গ্রহণ করেছেন। তাই শীর্ষ আদালতে নতুন বেঞ্চ গঠনের আর্জি জানিয়েছিলেন বর্ষিয়ান আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়।
গত বছরের ৩০ অগাস্ট ৫ সদস্যের এই সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করা হয়। বেঞ্চের সদস্য ছিলেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া।
পিটিশন দাখিল কারা করেছিল
এই পিটিশন দাখিল করা করেছিলেন বেশ কয়েকজন মুসলিম মহিলা। যাঁদের মধ্যে ছিলেন নায়েসা হাসান, শবনম, ফারজানা, সামিনা বেগম সমেত বাকিরা। এগিয়ে এসেছিল কিছু এনজিও এবং সঙ্গে ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়।
পিটিশনে কী বলা হয়েছে
এই পিটিশন অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল' বা শরীয়তের ২ নম্বর ধারাকে, মুসলিম পার্সোনাল ল অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট ১৯৩৭ অনুযায়ী এখানে বহুবিবাহের কথা বলা হয়েছে। অশ্বিনী উপাধ্যায় তখন দাবি জানিয়েছিলেন যে তিন তালাকের মতোই শরীয়ত আইনের ২ নম্বর ধারাকে অসংবিধানিক ঘোষণা করা হোক। কারণ এগুলি ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে। সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১ নম্বর ধারায় যথাক্রমে, সমতার অধিকার, কোনও রকম বৈষম্য না করার অধিকার এবং জীবন ও মর্যাদার অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে। অশ্বিনী উপাধ্যায় আরও বলেছেন যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী এরকম বহুবিবাহ অবৈধ, ৭ বছর অবধি জেল পর্যন্ত হতে পারে এই অপরাধে। প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছিল যে তিন তালাক অসাংবিধানিক কারণ এটি মুসলিম মহিলাদের অধিকারের বিপক্ষে যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours