মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। এঁরা সবাই নিযুক্ত হয়েছিলেন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার মাধ্যমে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলা করা হয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ...
পর্ষদ যে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে, সে ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানিয়েছিলেন, এই নির্দেশকে আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন। তার পর এদিনই করা হল মামলা। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই এই চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে। পর্ষদের পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছেন চাকরি খোয়ানো শিক্ষকরাও।
১২ মে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি এও জানিয়েছিলেন, আপাতত ওই শিক্ষকরা যেসব স্কুলে পড়াচ্ছিলেন, আগামী চার মাস তাঁরা সেখানেই পড়াতে পারবেন। তবে এই সময় তাঁরা বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকের। মামলার শুনানিতে বিচারপতি এও বলেছিলেন, যাঁদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের যখন নিয়োগ করা হয়, তখন তাঁরা প্রশিক্ষিত ছিলেন না।
আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন শুভেন্দু
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই রায়ের পরে পরেই পর্ষদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও ত্রুটি ছিল না। নিয়ম মেনেই হয়েছিল নিয়োগ। এই ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সময় অপ্রশিক্ষিত হলেও, এখন আর নন। এনসিটিই-র নিয়ম মেনে তাঁদের জন্য দু বছরের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল পর্ষদই।
২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ওই বছর নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষককে। এঁদের মধ্যে ৩৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ম মেনে হয়নি বলেই অভিযোগ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশেই এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এখনও চলছে তদন্ত। তার মধ্যেই ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours