Achieve Success: বিরতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কী বলছে নয়া সমীক্ষা?...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা কাজে বিরক্তি আসে। তাই প্রয়োজন হয় বিরতির। এই বিরতি কর্মী এবং তিনি যে সংস্থায় কাজ করেন, উভয়ের পক্ষেই মঙ্গলদায়ক। তাই কোনও সংস্থা যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে, সেটি হল কর্মীদের ছুটি দিতে হবে, দিতে হবে বিরতিও (Breaks And Holidays)। একইভাবে কর্মীরাও বিরতি নেবেন, নেবেন ছুটিছাটাও। এতে করে তিনি যখন ফের কাজে যোগ দেবেন তখন নতুন করে উদ্যম পাবেন তিনি (Achieve Success)। তাই সংস্থা এবং কর্মী দু’তরফই ছুটির সুফল কুড়োতে পারবে।
যাঁরা মনে করেন বিরতি এবং ছুটি (Breaks And Holidays) স্রেফ রিলাক্সসেশনের জন্য, তাঁরা ভুল জানেন। সিআইইএল এইচআর সার্ভিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সিইও আদিত্য নারায়ণ মিশ্র বলেন, “বিরতি এবং ছুটি স্রেফ রিলাক্সসেশন নয়। সেগুলি কর্মক্ষেত্রের প্রতি কর্মীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা বাড়িয়ে তোলে (Achieve Success)। সেই কারণেই এগুলি প্রয়োজনীয়।” সিআইইএল এইচআরের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রকাশ, ছুটি না পেলে খেপে ওঠেন ৭৩ শতাংশ কর্মী। সহকর্মীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও কৃতজ্ঞতা বাড়িয়ে তোলে বিরতি। বিরতি মিউচ্যুয়াল রেসপেক্ট বাড়িয়ে তোলে। সমৃদ্ধ হয় উৎপাদন ক্ষমতা এবং সন্তুষ্টি।
‘কর্মীরা যাতে খেপে না যায়, তাই বিরতির প্রয়োজন’, বলছেন অ্যাসিডাস গ্লোবাল আইএনসির প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও সোমদত্তা সিং। তিনি বলেন, “কর্মস্থলে যে কাজের চাপ থাকে, সংস্থার যে চাহিদা থাকে, সেখান থেকে মুক্তি দিতে পারে বিরতি এবং ছুটি (Breaks And Holidays)। এতে কর্মী শারীরিক ও মানসিকভাবে নতুন করে শক্তি ফিরে পান। কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ কমে।” তিনি বলেন, “যখন কেউ নিরন্তর কাজ করে চলেন, তখন নতুন করে ভাবনাচিন্তা করার সুযোগ তাঁর থাকে না। বিরতি এবং ছুটি কর্মীকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে, মনকে করে ভারমুক্ত, কর্মীকে করে অনেক বেশি সৃজনশীল। বিরতি সব দিক থেকে কল্যাণ করে সংস্থার কর্মীর (Achieve Success)।” তিনি বলেন, “মন চাপমুক্ত হলেই ভালো ঘুম হবে। কর্মী তাঁর হবির প্রতি সময় দিতে পারবেন, যোগাযোগ রাখতে পারবেন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের পক্ষে যা নিতান্তই জরুরি (Breaks And Holidays)।”
আর পড়ুন: ব্রহ্মসের প্রাক্তন বিজ্ঞানীর ল্যাপটপ হ্যাক করতে পাক চররা ব্যবহার করত ৩টি অ্যাপ!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।