লড়াই করে সাফল্যের শিখরে! চিনে নিন ডক্টর জুলেখা দাউদকে
ডক্টর জুলেখা দাউদ। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফলতা অর্জন করার রাস্তাটা কিন্তু মোটেও সহজ নয়, থাকে অনেক চড়াই-উতরাই। আর এইসব কাটিয়েই মানুষ তার সফলতার শিখরে পৌঁছাতে পারে। আজ এই প্রতিবেদনে এমন একজন লড়াকু মহিলার (Dr Zulekha Daud) সম্বেন্ধে জানব, যিনি নিজেকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছেন। যাঁকে আজ এক ডাকে গোটা বিশ্ব চেনে। তাঁর নাম ডক্টর জুলেখা দাউদ। যিনি বর্তমানে একজন ভারতীয় ধনী মহিলা হিসেবেও পরিচিত।
কে এই ডাঃ জুলেখা দাউদ (Dr Zulekha Daud)?
ডাঃ জুলেখা দাউদ এমনই একজন নারী, যিনি নিজেকে প্রায় শূন্য থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে বর্তমানে ভারতীয় ধনী মহিলার তকমা পেয়েছেন, সম্পূর্ণ নিজের অদম্য চেষ্টা ও সংগ্রামের মাধ্যমে। তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য আজ তিনি সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছেন। ৮৪ বছর বয়সী ডাঃ জুলেখা দাউদ (Dr Zulekha Daud) মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আজ তিনি দুবাইয়ে বসবাসকারী ভারতীয় ধনী মহিলা হিসেবে পরিচিত। জুলেখার বাবা একজন দিনমজুরের কাজ করতেন। অভাবী সংসারে থেকেও জুলেখা নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং একজন চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ডাক্তারি পড়া শেষ হতেই ১৯৬৪ সালে তিনি আরব আমিরশাহী যান তাঁর কর্মসূত্রে। এই সময় তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলার আখ্যা পান যিনি প্রথমবার ভারত থেকে আরব আমিরশাহীতে ডাক্তারি প্র্যাকটিসের জন্য যান। দুবাইয়ে তিনি প্রায় ১০,০০০ প্রসূতির ডেলিভারি করেছেন। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি।
জুলেখা হাসপাতাল গ্রুপ
১৯৯২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন জুলেখা হাসপাতাল গ্রুপ। ৬০ বছর আগে জুলেখা যখন দুবাইয়ে তার চিকিৎসা জীবন শুরু করেন, তখন দুবাইয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে তিনি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন জুলেখা হসপিটাল গ্রুপের। তিনি জুলেখা হসপিটাল গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
ডাঃ জুলেখা দাউদের (Dr Zulekha Daud) সাফল্য
২০১৯ সালে তিনি প্রবাসী ভারতীয় সম্মান পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। সম্প্রতি ফোর্বসের মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ ১০০ জন ধনী ব্যক্তির তালিকায় তিনি (Dr Zulekha Daud) স্থান পেয়েছেন। তাঁর হসপিটাল গ্রুপের বর্তমান বার্ষিক আয় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩০০০ কোটির কাছাকাছি। শুধু দুবাই নয়, ভারতেও তাঁর এই জুলেখা হসপিটাল গ্রুপ সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বসাধারণকে চিকিৎসা প্রদান করেছে। নাগপুরে একটি টপ মেডিক্যাল সেন্টার খোলার জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক থেকে তিনি ১৯৮ কোটি টাকা পেয়েছেন ও নিজের গ্রুপ থেকে ২০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।