জৈব চাষের (Organic Farming) জন্য যাঁরা প্রশিক্ষক হবেন তাঁদের প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় সরকার
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: "ন্যাশনাল মিশন অন ন্যাচারাল ফার্মিং" (National Mission On Natural Farming) এই প্রজেক্টকে সফল করার জন্য বিভিন্ন গাইডলাইন তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের ২৫ অগাস্ট কৃষি মন্ত্রক জৈব চাষের (Organic Farming) বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে কিছু গাইডলাইনও রাখা হয়েছে। এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে যে গঙ্গা থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা এলাকাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জৈব চাষ (Organic Farming) করার জন্য। অন্যদিকে যে সমস্ত অঞ্চল গুলিতে ভালো পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় এবং জমি উর্বর সেই এলাকাগুলোকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দেশের পার্বত্য অঞ্চল এবং বনাঞ্চল যেখানে তপশিলি জাতি এবং উপজাতিদের বাস, সেই অঞ্চলগুলিকেও কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রাধিকার দিতে চাইছে। তার কারণ এই সমস্ত তপশিলি জাতি এবং উপজাতিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটানো।
প্রথম পর্ব: জানেন জৈব চাষ কেন এত লাভজনক ?
১) রাজ্য স্তরে জৈব চাষের (Organic Farming) খুঁটিনাটি বিষয় দেখার জন্য রাজ্য সরকার যে কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে পারে।
২) জৈব চাষের (Organic Farming) জন্য যাঁরা প্রশিক্ষক হবেন তাঁদের প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
৩) রাজ্যের অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে কারা জৈব চাষের (Organic Farming) সঙ্গে যুক্ত, রাজ্যকে সেই তালিকা জমা দিতে হবে কেন্দ্রের কাছে।
৪) প্রত্যেকটি রাজ্যকে পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে থেকে খুঁজে বের করতে হবে একজন জৈব চাষীকে, যিনি দু-তিন বছর যাবৎ এই জৈব চাষ (Organic Farming) করছেন। তাঁকে বলা হবে চ্যাম্পিয়ন ফার্মার (Champion Farmer) । শর্ত অনুযায়ী তাঁর জমিতে ব্যবহারিকভাবে সমস্ত কিছু দেখানো হবে, জৈব চাষের (Organic Farming) খুঁটিনাটি দিকগুলি সম্পর্কে এবং গোবর সার কিভাবে প্রস্তুত করা হয় ইত্যাদি বিষয়। এই চ্যাম্পিয়ন ফার্মারের (Champion Farmer) অবশ্যই ভালো কমিউনিকেশন স্কিল থাকতে হবে। রাজ্যের যে সমস্ত এজেন্সি থাকবে জৈব চাষকে (Organic Farming) গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর অবধি নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই সমস্ত এজেন্সিগুলির সাথে সমন্বয় সাধন করবে এই চ্যাম্পিয়ন ফার্মার (Champion Farmer)। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই অন্য যেকোনোও একটি জৈব চাষী পরিবার থেকে একটি যুবককে রাখা হবে কমিউনিটি রিসোর্স পার্সেন (Community Resource Person) হিসেবে। এই দুজনের অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন ফার্মার (Champion Farmer) এবং কমিউনিটি রিসোর্স পার্সেনের (Community Resource Person) কাজ হবে কৃষকদের উৎসাহিত করা, পঞ্চায়েতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, সমস্ত কিছু মিটিং অ্যারেঞ্জ করা ইত্যাাদি। যে সমস্ত কৃষক জৈব চাষ (Organic Farming) করতে ইচ্ছুক থাকবেন তাদেরকেও রেজিস্ট্রেশন করাবেন এই চ্যাম্পিয়ন ফার্মার এবং কমিউনিটি রিসোর্স পার্সেন (Community Resource Person)। চ্যাম্পিয়ন ফার্মার (Champion Farmer) এবং কমিউনিটি রিসোর্স পার্সেনের (Community Resource Person) নিয়োগ হবে চার বছরের জন্য এবং তাদেরকে সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় পর্ব: জৈব চাষের বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ
জৈব চাষের (Organic Farming) বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School)। কৃষকদের প্রশিক্ষণ থেকে জৈব চাষ (Organic Farming) করার খুঁটিনাটি দিকগুলি বোঝানো, জৈব চাষে উৎসাহ দান এবং জৈব চাষ যে খরচ সাশ্রয়ী এই সমস্ত বিষয়গুলি প্রচার করা হবে এই ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School) থেকে। প্রতিটি গ্রামে একটি করে এই ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School) চালু করার কথা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রক ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে। একাধিক গ্রামের জন্য একটি ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School) চালু করা হতে পারে যদি প্রয়োজন হয়। প্রথম বছরের জন্য এই ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School) ৫০ জনের নাম নথিভুক্ত করবে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যস্তরের নিয়োগ করা এজেন্সি গুলির সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় সাধন করবে এই ফার্মার ফিল্ড স্কুল (Farmer Field School)। সাধারণভাবে এই ফার্মার ফিল্ড স্কুলগুলিতে (Farmer Field School) কমিউনিটি রিসার্চ পার্সেন এবং চ্যাম্পিয়ন ফার্মারদেরই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা, কিন্তু বিকল্প হিসেবে রাজ্য সরকার এই সমস্ত ফার্মার ফিল্ড স্কুলগুলিতে (Farmer Field School) ট্রেনার বা প্রশিক্ষক নিয়োগ করতে পারে। এই স্কুলের মাধ্যমে বছরে মোট ছয়টি ট্রেনিং করানো হবে জৈব চাষের বিষয়ে এবং প্রতিটি ট্রেনিংয়ের জন্য ৩০০০০ টাকা করে বরাদ্দ করবে সরকার।
(সমাপ্ত)
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: