FDI: “তামাক শিল্পে এফডিআই! কী বললেন পীযূষ গোয়েল?...
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তামাক শিল্পে এফডিআই (FDI) উদারীকরণ করবে না কেন্দ্রীয় সরকার।” মঙ্গলবার একথা জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। নয়াদিল্লিতে শিল্পক্ষেত্রের অনুষ্ঠানের ফাঁকে একথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তামাক শিল্পে সরকার এফডিআইয়ের বিভিন্ন বিধিগুলি আরও কঠোর করার কথা ভাবছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, তামাক প্রোডাক্টের ফ্র্যাঞ্চাইজি, ট্রেডমার্ক এবং তামাকের কোনও ব্র্যান্ডিং এবং এই জাতীয় কোনও সাবস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সরকার এফডিআই রেস্ট্রিকশনের কথা ভাবছে। প্রসঙ্গত, সরকারি নিয়মে ভারতে বর্তমানে তামাক জাতীয় প্রোডাক্ট উৎপাদনে এফডিআই অনুমোদন করা হয়নি। তামাক শিল্পে এফডিআই নীতি কঠোর করার প্রস্তাব বিবেচনাধীন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে। তামাক শিল্পকে পাপ বলেই বিবেচনা করা হয়।
এই শিল্পের ক্ষেত্রেই থাকে হরেক কিসিমের চাপ। যখন তখনই বাড়িয়ে দেওয়া হয় মোটা অঙ্কের কর। ভারতে তামাক শিল্পেই (Piyush Goyal) জিএসটি দিতে হয় সব চেয়ে বেশি, ২৮ শতাংশ। ৬১ শতাংশ তামাক প্রোডাক্টের ওপর ট্যাক্স দিতে হয় দু’শো শতাংশ। ২০২০ সালে বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রকের পার্লামেন্টারি কমিটি এই শিল্পে এফডিআইয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল, এতে করে তামাকজাত দ্রব্য বেশি করে রফতানি হবে। প্যানেল অবশ্য এ-ও বলেছিল, এই প্রস্তাব প্রযোজ্য হবে কেবলমাত্র তামাক ফার্মগুলির ক্ষেত্রে।
আর পড়ুন: ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে ভারতীয় সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন স্পিকার
সিগারেট রফতানিতে ভারত বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ইউএন কমট্রেডের হিসেব বলছে, ভারত ২০২২ সালে সিগারেট রফতানি করেছিল ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আমদানি করেছিল ২৬ মিলিয়নের কাছাকাছি তামাকজাত দ্রব্য। আইবিইএফের হিসেবে, ভারতে তামাক ফার্মিং ক্ষেত্রে কাজ করেন ৩৬ মিলিয়ন মানুষ। এর মধ্যে রয়েছেন প্রসেসিং, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এক্সপোর্টের কাজে জড়িত মানুষজনও। প্রতিবার কেন্দ্রীয় বাজেটে মোটা অঙ্কের কর আরোপ করা হয় তামাক শিল্পে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতে অননুমোদিত উৎপাদন ও চিবানো তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকারকে সাহায্য করার অনুরোধ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা এ-ও (FDI) জানিয়েছিলেন, এতে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে সরকারি কোষাগারের। দেশে বেআইনিভাবে উৎপাদিত সিগারেটের বিক্রি বেড়েছে বলেও জানিয়েছিলেন (Piyush Goyal) তাঁরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।