এদিন সকালে প্রায় দেড় শতাংশ পতনের পর -৯৯ শতাংশে এসে থামে নিফটির সূচক।
শেয়ার মার্কেট
মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: সোমবার বাজার খোলার আগেই শেয়ার বাজারে (Share Market) মন্দার আশঙ্কা করা হয়েছিল। ৯৫৪ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স (Sensex)। নিফটিতেও (Nifty) তার প্রভাব পড়েছে। নিফটি পড়েছে ১.৮ শতাংশ, অর্থাৎ ৩১১.০৫ পয়েন্ট। দাম পড়েছে একাধিক শেয়ারের। গত সপ্তাহেই সুদের হার বাড়িয়েছে ফেডারাল রিজার্ভ ব্যাংক। অনেকেই মনে করছেন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াও বাড়াতে পারে সুদের হার। আর সেই আশঙ্কা থেকেই শেয়ার বাজারে এই রকম বিপর্যয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। উৎসবের মরশুমেও শেয়ার বাজারে কোনও উত্থান হয়নি। মন্দার খাতেই বইছে শেয়ার বাজার।
আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! সেনসেক্স পড়ল প্রায় ১১০০ পয়েন্ট, পতন নিফটিতেও
একাধিক শেয়ারের দাম পড়েছে। সবচেয়ে বেশি যে শেয়ারগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে টাটা স্টিল,মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, মারুতি,ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাংক, টাইটান, পাওয়ার গ্রিড। তবে এই মন্দার বাজারে কিছু সংস্থা লাভের মুখ দেখেছে। যেই সংস্থাগুলি লাভ করেছে তার মধ্যে রয়েছে নেসলে, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার। এই লাভ এতটাই সামান্য যে তাতে বাজারের পতন আটকানো যায়নি। নবরাত্রি শুরুর দিনেও বাজার চাঙ্গা হওয়ার কোনও আশা দেখতে পাচ্ছেন না শেয়ার বাজারের কারবারিরা।
আরও পড়ুন: আগামী বছরই আর্থিক মন্দার গ্রাসে গোটা বিশ্ব, আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের
মনে করা হচ্ছে লাগাতার শেয়ার বাজারে পতন আর টাকার দামে পতন এই দুইয়েরই কারণ মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দা। অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, ২০২৩ সালে আমেরিকায় রিসেশন শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তার প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক মাসে মার্কিন অর্থনীতিতে আরও বড় ধাক্কা আসবে। তার প্রভাব পড়বে এ দেশের অর্থনীতিতে। ভারতের বাজারেও দেখা দিতে পারে মন্দা। মুদ্রাস্ফীতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিন সকালে প্রায় দেড় শতাংশ পতনের পর -৯৯ শতাংশে এসে থামে নিফটির সূচক। পরে অবশ্য সবার জন্য বাজার খুললে আরও পড়ে নিফটি, সেনসেক্স। সাড়ে ৯টার আগেই প্রায় দেড় শতাংশ কমে যায় নিফটি ও সেনসেক্সের সূচক।
Tags: