Pavan Guntupalli: প্রত্যাখ্যানই সাফল্যের চাবিকাঠি! আরও একবার প্রমাণ করল তেলঙ্গানার পবন
র্যাপিডোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা পবন গুন্টুপল্লি। ছবি— সংগৃবহীত।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফল্য কখনই সহজে আসে না। বহু প্রতীক্ষা আর একনিষ্ঠ চেষ্টার পরেই সাফল্য আসে। তবে সফলতার পথে প্রত্যাখ্যান তো আসবেই। কিন্তু প্রথম প্রত্যাখ্যানেই ভেঙে পড়লে সফলতার শিখরে কখনওই পৌঁছনো যাবে না। বরং প্রত্যাখ্যান থেকেই শিক্ষা নিয়ে লক্ষ্য স্থির রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অনেক প্রত্যাখ্যানের পর সফলতা পেয়েছে এমন উদাহরণ আমাদের সমাজে অনেকই আছে। তবে আজ জানাব আইআইটি স্নাতক পবন গুন্টুপল্লির জীবন কাহিনী (Success Story), যা শুনে অনুপ্রাণিত হবেন আপনিও।
তেলঙ্গানার বাসিন্দা পবন গুন্টুপল্লি হলেন একজন তরুণ ভারতীয় উদ্যোক্তা এবং ভারতীয় বাইক-ট্যাক্সি কোম্পানি র্যাপিডোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। বেঙ্গালুরু থেকে পবন তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। তারপর তিনি খড়গপুর আইআইটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে পরবর্তীকালে আইআইএম ব্যাঙ্গালোর থেকে এমবিএ করেছেন। আসলে ট্রেডিং এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এর প্রতি তার গভীর আগ্রহ রয়েছে ছোটবেলা থেকেই।
তবে তাঁর (Pavan Guntupalli) কর্মজীবনের শুরুটা খুব মসৃণ ছিল না। বহু প্রতিকূলতা ও প্রত্যাখ্যান পেরিয়ে অবশেষে তিনি শহরবাসীর জন্য একটি সুবিধাজনক সাশ্রয়ী মূল্যের এবং ২৪X৭ পরিবহণ মাধ্যম আনার চিন্তাভাবনা করেছিলেন। যার ফলে পরবর্তীকালে অনেক তরুণদের জন্য চাকরির সুযোগ প্রশস্ত হয়েছে। যদিও এই চিন্তা তাঁর মাথায় একদিনে আসেনি। জানা গিয়েছে, স্নাতক হওয়ার পর তিনি স্যামসাঙের সঙ্গে কাজ করেন এবং সেখান থেকে শিল্প অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এরপর তিনি তার বন্ধু অরবিন্দ সাঙ্কার সঙ্গে 'দ্যা ক্যারিয়ার' নামে একটি ব্যবসা শুরু করেন। এই স্টার্ট-আপের ভালো-মন্দ থেকে শিক্ষা নিয়ে, পবন এরপর ২০১৪ সালে র্যাপিডো নামে একটি বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করেন।
তবে শুরু করব বললেই তো আর সবকিছু এত মসৃণ হয় না। কারণ ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রয়োজন প্রচুর মূলধন। তবে বিনিয়োগকারীরা প্রথমে এই ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে চাননি। উবার-ওলার ভিড়ে এই র্যাপিডো আদৌ তার জায়গা গুছিয়ে নিতে পারবে কিনা সেই ধন্দে পবন (Pavan Guntupalli) প্রায় ৭৯ জন বিনিয়োগকারীর থেকে সেসময় প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। তবে থেমে থাকার পাত্র নন তিনি। নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে একমনে চালিয়ে গিয়েছেন চেষ্টা। প্রথম দিকে বেস ভাড়া ১৫ টাকার সঙ্গে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ৩ টাকা রেখেছিলেন পবন। তাই স্বাভাবিকভাবেই র্যাপিডোর ব্যবসা প্রথম দিকের বছরগুলিতে খুব একটা অগ্রগতি আনতে পারেনি। তবে পবন তাঁর স্বপ্ন পূরণে অবিচল ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পাশে নিয়েই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চন্দ্রবাবুর
তাঁর প্রথম সাফল্য (Success Story) আসে দুই বছর পর ২০১৬ সালে। যখন হিরো মোটোকর্পের (Hero MotoCorp) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পবন মুঞ্জাল র্যাপিডোতে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। মুঞ্জালের যোগদানের ফলে, র্যাপিডো শুধুমাত্র উপভোক্তাদের আস্থা অর্জন করেছিল তাই নয়, বিনিয়োগকারীদেরও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে কোম্পানি ১০০টিরও বেশি শহরে সফলভাবে প্রসারিত হয়েছে। যেহেতু র্যাপিডো বাইক-রাইডিং ভিত্তিক ব্যবসা, তাই এটি রুক্ষ পাহাড়ি এলাকায় আরও জনপ্রিয়তা অর্জন (Success Story) করেছে এবং সফল হয়েছে। বর্তমানে, র্যাপিডোর ৭ লাখের বেশি ব্যবহারকারী এবং ৫০,০০০ রাইডার রয়েছে। বর্তমানে, র্যাপিডো সংস্থার বাজারদর ৬,৭০০ কোটি টাকা! সুতরাং, পবনের এই জীবনকাহিনী আরও একবার প্রমান করল যে, কোনও কাজে প্রত্যাখ্যান এলে থেমে যেতে নেই, বরং নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে এগিয়ে যেতে হয়। সঠিক সময় হলে সফলতা এমনিতেই আসবে।
जहां कोई नहीं पहुंच पाया वहां Rapido ने दबदबा कैसे बनाया? जानिए Founder Pavan Guntupalli से
— Zee Business (@ZeeBusiness) May 4, 2024
Watch Full Interview Here: https://t.co/fOypw2enyo#CXOMantra #Rapido #successstory @rapidobikeapp @nikitapatidar15 pic.twitter.com/gRnH0EaUnW
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।