img

Follow us on

Monday, Sep 16, 2024

Swadeshi Blessings: মাটির হাঁড়ি-কলসি-থালা-বাসন ফিরিয়ে আনছে 'স্বদেশি ব্লেসিংস', জানেন এর পরিচয়

Artisanal Clay Utensils: বার্ষিক আয় ৫ কোটি, ২০টি দেশে যায় রাজস্থানের মাটির বাসন...

img

মাটির বাসন তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।

  2024-07-31 12:23:45

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোটবেলায় রাজস্থানের তীব্র গরমে মাটির কলসির (Swadeshi Blessings) জল তাঁকে দিত অমৃত সুধা। মাটির হাঁড়ির স্বতন্ত্র গন্ধ তাঁর ছিল খুব প্রিয়। কিন্তু ছোট থেকে কৈশোর পেরিয়ে যখন তিনি তারুণ্য়ে প্রবেশ করেছেন, তখন মাটির হাঁড়-কলসি প্রায় হারিয়ে যেতে চলেছে। তার জায়গায় বাজার দখল করেছে প্লাস্টিক। আধুনিক প্রযুক্তি, নতুন কায়দা ঐতিহ্যকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। প্লাস্টিকের বোতল হোক বা ফাইবারের পাত্র কোনওটাই স্বাস্থ্যকর নয়, তবু সহজলভ্য। মানুষ ঝুঁকেছে তার দিকেই। কাজ হারিয়েছেন শয়ে শয়ে মৃৎশিল্পী। এটা মেনে নিতে পারেনি মাটির ছেলে দত্তাত্রেয় ব্যাস। ১০০-র বেশি মৃৎশিল্পীকে নিয়ে তিনি তৈরি করলেন 'স্বদেশি ব্লেসিংস' নামে একটি সংস্থা। যাঁরা ফিরিয়ে আনলেন মাটির হাঁড়ি-কলসি-থালা-বাসন।

কবে থেকে শুরু

দত্তাত্রেয় জানান, “আমি কর্পোরেট জগতে খুশি ছিলাম। আমার পরিবারে কেউ কখনও উদ্যোক্তা হতে চাননি এবং আমারও এমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না। লকডাউনের সময় বাড়ি থেকে কাজ চলছিল। বিকেলের দিকে গ্রামের পথে হাঁটতে বেরিয়েই একদিন চোখে পড়ল কুমোর-পাড়া (Artisanal Clay Utensils)। আমরা কয়েকজন মৃৎশিল্পীকে তাঁদের কারুকার্য বিক্রি করতে দেখলাম, তাঁদের জীবিকা পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। লকডাউনের কারণে, তাঁরা কোনমতে দিন কাটাচ্ছিলেন।” দত্তাত্রেয় পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেন, এই শিল্পীদের নিয়েই কিছু করবেন। 

পথচলার প্রথম দিন

দত্তাত্রেয় বলেন, “আমার পরিবার এবং আমি ওই শিল্পীদের (Swadeshi Blessings) সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমার মা, বউদি, ভাই এবং আমি তাদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।” তৈরি হয় ‘স্বদেশি ব্লেসিংস’। ২০২৩ সালে, চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি ব্যবসায় নিবেদিত হন দত্তাত্রেয়। সীমিত সম্পদ এবং জ্ঞানের মাধ্যমে এই ব্যবসাকে ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকেন তাঁরা। প্রথমে ইউটিউব, সোশ্যাল সাইটের সাহায্য নেন দত্তাত্রেয়রা। বর্তমানে, স্বদেশি ব্লেসিংস-এ রাজস্থান এবং তার বাইরের ১২০ জনেরও বেশি কারিগরের সঙ্গে কাজ করছে। দত্তাত্রেয় বলেন, “আমাদের কারিগররা আমাদের মেরুদণ্ড, তারা দক্ষ কারিগর, যাদের মধ্যে অনেকেই রাষ্ট্রপতি পুরস্কার বা ইউনেস্কো পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।” 

আরও পড়ুন: টোকিও-র পর গীতাই ছিল আশ্রয়, খেলার সঙ্গে পড়াশোনাতেও উজ্জ্বল মনু

মহিলা কারিগর

স্বদেশি ব্লেসিংস-এর (Swadeshi Blessings) কারিগররা, প্রধানত মহিলা। উৎপাদনের প্রতিটি দিকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তাঁরা। মাটি সংগ্রহ (Artisanal Clay Utensils) এবং মেশানো থেকে শুরু করে সবকিছু কাজ তাঁরা নিজেরা করেন। এখানকার তৈরি পণ্যগুলি সীসা মুক্ত এবং ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। কোম্পানিটি মগ, বাটি, ওয়াইন গ্লাস, কুকার, রান্নার হাঁড়ি, সসপ্যান, তাওয়া, কড়াই, মাটির হাঁড়ি, চা-প্রদীপের হোল্ডার, মূর্তি আরও অনেক কিছু তৈরি করে — সবই মাটি ব্যবহার করে। দত্তাত্রেয়র মতে, বর্তমানে তারা ৬৫ ধরনের রান্নার পাত্র বিক্রি করছে। প্রতিটি পণ্য ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম এবং আধুনিক সংবেদনশীলতার মিশ্রণ প্রতিফলিত করে। বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে মাটির তৈরি এই বাসন রফতানি করছে স্বদেশি ব্লেসিংস। বার্ষিক আয় আনুমানিক ৫ কোটি টাকা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Rajasthan

bangla news

swadeshi blessings

65 types of artisanal clay utensils

artisanal clay utensils


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর