সানা খানের জীবনে স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যান। ফাইনাল ইয়ারে পড়ার সময় তাঁর ভার্মিকম্পোস্ট প্রজেক্ট-এ কাজ পড়ে।
সানা খান
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী! উত্তরপ্রদেশের মিরাটের সানা খান তা প্রমাণ করলেন। ভার্মিকম্পোস্ট (কেঁচো ব্যবহার করে তৈরি একধরনের সার) তৈরি করে ১ কোটি টাকা আয় করলেন।
সানা কীভাবে এলেন ভার্মিকম্পোস্টের (Vermicompost) কাজে
সানা খানের জীবনে স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যান। ফাইনাল ইয়ারে পড়ার সময় তাঁর ভার্মিকম্পোস্ট (Vermicompost) প্রজেক্ট-এ কাজ পড়ে। এই সময়ই তিনি হাতে কলমে কাজ শিখে যান। তাঁর নিজের ভাষায়, কলেজের প্রজেক্ট চলাকালীন, সার তৈরির এই পদ্ধতির প্রতি আমি আকৃষ্ট হই। তখন ভাবলাম এই প্রকল্পটি আমি বড় আকারে করতেই পারি। তারপর বাণিজ্যিকভাবে কেঁচোর প্রজনন শুরু করলাম।
আরও পড়ুন: 'জৈব চাষে আগ্রহ থাকলে সরকারি প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে
সানা বলেন, ২০১৪ সালে তাঁর ভাইয়ের কাছে টাকা নিয়ে SJ Organics ভার্মিকম্পোস্টিং (Vermicompost) কোম্পানি স্থাপন করেন তিনি। যদিও তাঁর প্রথম ব্যবসায়িক মডেল কাজ করেনি বলেই জানিয়েছেন তিনি। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের মধ্যে সানার সংস্থায় ৫০০ টন বর্জ্য আমদানি হয়েছে এবং প্রতি মাসে এই পরিমান বর্জ্য থেকে ১৫০ টন ভার্মিকম্পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এই কোম্পানি বার্ষিক টার্নওভার ১ কোটিরও বেশি রয়েছে। শুধু তাই নয় সানার সংস্থায় কাজ করছে বর্তমানে ৩০ জনেরও বেশি লোক।
সানার সংস্থা এখন ভার্মিকম্পোস্ট (Vermicompost) তৈরির প্রশিক্ষনও দিচ্ছে বলে জানা গেছে। মিরাটের ১০০টিরও বেশি স্কুল এখন এই কাজে লেগে আছে। সানা খান আরও জানান, ভার্মিকম্পোস্টকে (Vermicompost) তিনি শুধু উত্তরপ্রদেশে নয়, সারা দেশের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে দিতে চান। যাতে জৈব চাষ পদ্ধতি আরও জনপ্রিয় হয়।
Tags: