মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) বিতর্কের রেশ পুরোপুরি মেলায়নি। এর মধ্যেই পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির নিয়ে নতুন বিতর্কিত মন্তব্য করে অশান্তির আগুন লাগিয়ে দিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন বা এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান তথা হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল পুরী (Puri)। শ্রীমন্দিরের সিংহ দরজার সামনে বিক্ষোভ দেখায় জগন্নাথ সেনা। ওয়াইসির গ্রেফতারির দাবিও জানান তাঁরা।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালে ত্রিশূলের চিহ্ন! প্রকাশ্যে ভিডিও ফুটেজ
মে মাসে মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে একটি জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় আসাদউদ্দিন স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) একটি উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, একটি বৌদ্ধ উপাসনালয় ধ্বংস করার পরে তৈরি করা হয়েছিল জগন্নাথ মন্দির। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জগন্নাথ সেনার আহ্বায়ক প্রিয়দর্শন পট্টনায়েক বলেন, "হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি একজন দুষ্ট ব্যক্তি। তিনি চান মানুষ ধর্ম নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হোক।"
সাংসদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে ওড়িশার একাধিক সংগঠন। জগন্নাথ সেনা ওয়াইসির বিরুদ্ধে সিংহদ্বার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের বক্তব্য, ওয়াইসি তাঁর মন্তব্যের মাধ্যমে ভগবান জগন্নাথদেবের ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। জগন্নাথ সেনার নেতারা বলেন, ওয়াইসির মন্তব্য বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন : আরএসএসের জয়পুর বৈঠকে আলোচনা হবে জ্ঞানবাপী নিয়ে?
বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে বিতর্ক। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) আমলে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির (Kashi Viswanath Temple) ভেঙে তৈরি হয়েছিল মসজিদ। পরে রানি অহল্যাবাই নতুন করে তৈরি করে দেন বিশ্বনাথের মন্দির। সেই মন্দিরই এখনও বর্তমান।
হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের এও দাবি, মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা রয়েছে। বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি মসজিদ চত্বরে হয়েছে ভিডিওগ্রাফিও। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তাতে দেখা গিয়েছে, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ (Shivling) রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, ঠিক তখনই ওয়াইসির মন্তব্য জন্ম দিল এক নয়া বিতর্কের।
+ There are no comments
Add yours