মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঠোর অধ্যবসায়, প্রবল মনের জোর এবং সর্বোপরি জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের মানসিকতা। এসব থাকলে কেউ যে কোন উচ্চতায় (TNPSC) পৌঁছাতে পারে, তার উদাহরণ কম নেই। বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে একদিকে যেমন উচ্চ শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের অনেকেই চায়ের দোকান খুলে বসছেন, রাস্তায় বসে সবজি বিক্রি করছেন, ঠিক তার উল্টো পথে হেঁটে অনেকের কাছেই উদাহরণযোগ্য হয়ে উঠেছেন তামিলনাড়ুর জিগনেশ। তাঁর উত্থানের কাহিনি একদিকে যেমন চমকপ্রদ, অন্যদিকে অনুপ্রেরণারও। অনেকের কাছে মনে হতে পারে স্বপ্ন। না, এখানে স্বপ্নের কিছু নেই, পুরোটাই বাস্তব।
খবর (TNPSC) প্রকাশ্যে আনল ফুড ডেলিভারি সংস্থাই
জিগনেশ ছিলেন দেশের একটি প্রথম সারির ফুড ডেলিভারি কোম্পানির ডেলিভারি পার্টনার। শিক্ষিত হয়েও চাকরি না মেলায় এই পথই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর চোখ-মুখ ছিল স্বপ্নে ভরা। জীবনে আশা কখনও ছেড়ে দেননি। তাই কাজের ফাঁকে চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। আর তাতেই হল স্বপ্নপূরণ। তামিলনাড়ুর পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (Clear) হয়েছেন তিনি। ফলে তাঁর বাড়িতে যে খুশির বন্যা বয়ে যাবে, এটা প্রত্যাশিত, স্বাভাবিকও। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে ওই ফুড ডেলিভারি সংস্থাই। তারাই ট্যুইটারে জানিয়েছে, তাদের এই ডেলিভারি পার্টনারের সাফল্যের খবর। তারা লিখেছে, জিগনেশের জন্য একটা লাইক দিন, যিনি কিনা আমাদের ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে কাজ করে তামিলনাড়ু পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (TNPSC) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে হার্টের সাইন। একটি ছবিও দেওয়া হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন এই কৃতী।
উচ্ছ্বসিত নেটাগরিকরা
এই পোস্টটি দেখার পর থেকেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন নেটাগরিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা দেখেছেন, এমন মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার। লাইক পড়ে যায় প্রায় পাঁচ হাজার, রি-ট্যুইট করেন অনেকে। তাঁর এই সাফল্যে (TNPSC) সকলেই তাঁকে অভিনন্দন জানান। একজন লিখেছেন, জিগনেশ তাহলে এবার থেকে অর্ডারে সই করবেন। আরেকজন লিখেছেন, অভাবনীয় সাফল্য। তৃতীয় জনের মন্তব্য, জীবনে এরকমই ডেডিকেশন দরকার। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল সেই পোস্ট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours