মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় কর্মীর ভোজালির কোপে ক্ষতবিক্ষত হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসির পোতনা পুরসা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা মীর আজমিরার স্বামী মীর জাকির হোসেন। এই ঘটনায় গলসি ১ নম্বর ব্লকে আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) কীভাবে আক্রান্ত হলেন?
জখম মীর জাকির হোসেন জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে দশটার সময় মীর কওসার মদ্যপ অবস্থায় তাঁর স্ত্রীকে গালিগালাজ করছিল। ওই সময় তিনি গালি দিতে নিষেধ করলে কওসার আচমকা একটি ভোজালি নিয়ে তাঁর বাঁ দিকের বগলের কাছে আঘাত করে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। স্থানীয়রা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রথমে নিয়ে যান। তারপর সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে বর্ধমান (Purba Bardhaman) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এই আক্রমণের বিরুদ্ধে তিনি দলের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য
এই হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ কমল বলেন, আমরা তৃণমূল করি, আমাদের নেতা হলেন জাকির হোসেন। অপর দিকে মীর কওসারের নেতা হলেন পার্থ মণ্ডল এবং জানার্দন চ্যাটার্জি। ওরা গলসি এক নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক (Purba Bardhaman) সভাপতি গোষ্ঠীর লোক। তিনি আরও বলেন, মূলত পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট কে পাবে, এই নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় কওসার প্রথমে পঞ্চায়েত সদস্যাকে গালিগালাজ করে। এরপর বাধা দিলে ভোজালি নিয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালায় জাকির হোসেনের উপরে। তিনি আরও বলেন এই কওসারের কঠোর শাস্তি চাই। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরোটাই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে যায় গলসি থানার পুলিশ। পুলিশ কওসারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours