মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বডিশেমিং-এর শিকার প্রায় অনেককেই হতে হয় এবং এর জেরে আত্মহত্যার কথাও শোনা যায়। তবে লোকের টিটকিরি সহ্য় করেও নজির গড়েছেন রাধিকা গুপ্তা (Radhika Gupta) । ছোট থেকেই রাধিকাকে কটূক্তির শিকার হতে হয়েছিল। তিনিও চেয়েছিলেন তাঁর এই জীবন থেকে মুক্তি পেতে। কিন্তু তিনিই আজ দেশের অন্যতম কনিষ্ঠ সিইও (CEO)। যিনি আপাতত এডেলওয়াইসের (Edelweiss) সিইও পদে আছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
রাধিকা জানান, জন্ম থেকেই তাঁর ঘাড় একটু বাঁকা, চোখ ট্যারা । কুঁজো হয়ে হাঁটতেন। ফলে তাঁকে স্কুলজীবন থেকেই অনেক কটাক্ষের শিকার হতে হয়। স্কুলে গেলেই শরীর নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শুনতেন রাধিকা। বাবা কূটনীতিবিদ হওয়ায় তাঁর ছোটবেলা কেটেছিল পাকিস্তানে । সেখানকার স্কুলে তাঁর কথায় ভারতীয় টান নিয়েও ব্যঙ্গ করা হত।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম, মেহেন্দিতে সেজে নিজেকেই বিয়ে তরুণীর ! কী কী হল অনুষ্ঠানে?
রাধিকা বলেন, “আমার মায়ের সঙ্গে তুলনা করত আমার। মা আমার স্কুলেই কাজ করতেন। দারুণ মহিলা ছিলেন। সবসময় লোকজন বলতেন যে মায়ের তুলনায় আমি বাজে দেখতে। তারপর আমার আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছিল।“
রাধিকা জানান, ২২ বছরে সাতটি চাকরির সুযোগ হারানোর পর আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। বাঁকা ঘাড়ের কারণেই চাকরি মেলেনি তাঁর। তিনি বলেন, "আমি জানালার বাইরে দিয়ে দেখছিলাম , আর মনে মনে ভাবছিলাম যে ঝাঁপ দেব। আমার বন্ধু দেখতে পেয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকে।" তারপর তাঁর বন্ধুই তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর অবসাদ কাটিয়ে ওঠেন। তারপরেই একটি ইন্টারভিউ দিয়ে ম্যাককিনসেতে (McKinsey) চাকরি পান রাধিকা। কয়েক বছর চাকরি করার পর স্বামী এবং এক বন্ধুর সঙ্গে একটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম খোলেন। যদিও এই সংস্থাটি পরে কিনে নেয় একটি মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবেই আমি কর্পোরেট জগতে ঢুকে পড়লাম। একদল স্যুট প্যান্টের মাঝখানে আমি একা শাড়িতে।’’ তারপর এই সংস্থাতেই ৩৩ বছর বয়সে সিইও(CEO) হয়ে যান এবং ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও-দের তালিকায় নাম লেখান। এভাবেই যাবতীয় বিদ্রুপকে পিছনে ফেলে জীবনের জয়গানের এক নতুন নজির গড়েন রাধিকা গুপ্তা।
আরও পড়ুন: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ?
+ There are no comments
Add yours