মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল কামতাপুর স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ডাকা রেল রোকো আন্দোলনে আটকে গেল বন্দেভারত ট্রেন সহ আরও বহু দূরপাল্লার ট্রেন। শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে এই আন্দোলন শুরু হয় জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জলঢাকা ব্রিজ সংলগ্ন ধূপগুড়ি ও বেতগাড়া স্টেশনের মাঝখান এলাকায়। মূলত আলাদা রাজ্য এবং জীবন সিংহের সঙ্গে দ্রুত শান্তি আলোচনার জন্য এই রেল রোকো আন্দোলন করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। যার জেরে তিন ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ থাকে উত্তর পূর্বের রেল চলাচল।
কী শর্ত দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলেন আন্দোলনকারীরা? (Jalpaiguri)
এদিন সকাল থেকেই রেলের আধিকারিক, রেল পুলিশ, জি আর পি, এবং ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ উপস্থিত ছিল ঘটনাস্থলে। রেল রোকোর জেরে বন্দেভারত এক্সপ্রেস বেতগাড়া স্টেশনে, আপ ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri)রোড স্টেশনে, রানি নগরে আপ উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেস নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে, কোয়েম্বাটুর- শিলচর এক্সপ্রেস নিউ দোমহনী স্টেশনে এবং এন জে পি -কামাখ্যা রানিনগরে আটকে যায়। প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলতে নারাজ ছিলেন। রেলের তরফে এ ডি ই এন বিনোদ ভরদ্বাজ এবং অতিরিক্ত সিকিউরিটি কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসক উপস্থিত ছিলেন। এদিন আন্দোলনকারীরা রেল ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের হাতে তাদের দাবি সম্বলিত স্মারক পত্র তুলে দেন। তারা শর্ত রাখেন আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারীর মধ্যে যদি তাঁদের দাবি পূরণ না হয় তাহলে তাঁরা আগামীতে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। প্রয়োজনে তাঁরা গায়ে পেট্রোল ঢালতে রাজি রয়েছে। আলোচনায় প্রশাসনের কাছে কিছুটা আশ্বাস পেয়ে তিন ঘণ্টা অবরোধ চলার পর রেল আধিকারিক এবং জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে শর্ত সাপেক্ষে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।
কী বললেন রেলের আধিকারিক?
উত্তর পূর্ব রেলের জন সংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, এদিনের এই অবরোধে ট্রেন যাত্রীরা নাকাল হন। তিন ঘন্টা অবরোধের জেরে বেশ সমস্যায় পড়েন সব দূর পাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা। তবে, আটকে থাকা যাত্রীদের জন্য রেলের তরফে জলের ব্যবস্থা করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours