Rajnath Singh: “আত্মনির্ভর ভারত কোনও বিকল্প নয়, প্রয়োজন”, বললেন রাজনাথ

“ভারত সীমান্তে ডাবল থ্রেটের মুখোমুখি"...
rajnath
rajnath

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আত্মনির্ভর ভারত কোনও বিকল্প নয়, প্রয়োজন।” শনিবার কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, “ভারত সীমান্তে ডাবল থ্রেটের মুখোমুখি। বর্তমানে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে বদলাচ্ছে যুদ্ধের কৌশলও। তাই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হতে হবে।”

‘আত্মনির্ভর ভারতের’ পক্ষে সওয়াল

‘আত্মনির্ভর ভারত’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “শক্তিশালী সেনাবাহিনী ছাড়া আপনি আপনার সীমান্ত রক্ষা করতে পারবেন না। কেবল সীমান্ত নয়, সভ্যতা এবং সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হলেও, প্রয়োজন শক্তিশালী সেনাবাহিনীর। এই সেনাই যদি অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়, তখন জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি চলে যাবে হাতের বাইরে। তাই দেশকে শক্তিশালী করতে সেনাবাহিনীর আত্মনির্ভর হওয়াটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

সার্বভৌমত্ব রক্ষা প্রয়োজন

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে বহু অস্ত্র ইলেকট্রনিক সিস্টেম বেসড। তাই আমাদের অবস্থান কিংবা সংবেদনশীল কোনও তথ্য যারা আমাদের আক্রমণ করছে, তাদের হাতে চলে যাক, এটা কি আমরা চাইতে পারি? তাই আত্মনির্ভর হওয়া প্রয়োজন।” তিনি (Rajnath Singh) বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের যদি অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও প্লাটফর্মের প্রয়োজন হয়, তাহলে দেশের ভিতরেই সেগুলিকে উন্নত করতে হবে।” রাজনাথ সিংহ বলেন, “আমদানি করা অস্ত্র-সরঞ্জামের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে। অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম আমাদের সাহসী সৈন্যদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “ভারত যদি সামরিক ক্ষেত্রে বিশ্বে কোনও জায়গা নিতে চায়, তাহলে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের আত্মনির্ভর হতেই হবে।”

আরও পড়ুুন: “২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়”, মন কি বাতের অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী

ইউপি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Rajnath Singh) জানান, এই লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় প্রায় ১৭০০ হেক্টর জমির মধ্যে এ পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি ইন্ডাস্ট্রি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমি। ১০৯টি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিনিয়োগ হতে পারে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ২,৫০০ কোটি টাকা লগ্নি হয়ে গিয়েছে। এই করিডর যে কেবল স্পেয়ার পার্টস উৎপাদন করবে, তা নয়, এখানে উৎপাদনের পাশাপাশি ড্রোন অ্যাসেম্বল হবে, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যালস, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, এয়ারক্র্যাফ্ট এবং ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি হবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles