মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধন নিয়ে সোমবার দেশজুড়ে নানা অনুষ্ঠান হয়। এই আবহের মধ্যেই ঝাড়গ্রামে তৈরি করা হবে রাম মন্দির। রাম সেনা সংগঠনের পক্ষ থেকে এই মন্দির তৈরি করা হবে। সংগঠনের জেলা সভাপতি মধূসূদন সিংহ নিজে উদ্যোগী হয়ে রাম মন্দির তৈরির জন্য ৫ কাঠা জমি দিয়েছেন। সেই জমিতে গড়ে তোলা হবে স্বপ্নের রাম মন্দির। সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে রাজস্থান থেকে বিগ্রহ আনা হবে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, রামের মন্দির হবে সর্বসাধারণের জন্য।
রাম সেনার উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির (Ram Mandir)
রামসেনা সংগঠনটি সঙ্ঘ পরিবারের শাখাও নয়। মধুসূদনবাবু এক সময় শিবসেনার জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে অবশ্য তিনি শিবসেনার সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। মধুসূদন বলেন, পুরুষোত্তম রামচন্দ্রকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। আমরা রামকে নিয়ে বিভাজনের বিপক্ষে। জেলার মধ্যে মানিকপাড়া ও রাধানগরে রামের দু'টি ছোট মন্দির আছে। তাই জেলা শহরে রামের দৃষ্টিনন্দন মন্দির তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সঙ্ঘের শাখা হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা সংযোজক বাপ্পা বসাক বলেন, শহরে রামের মন্দির (Ram Mandir) প্রয়োজন। ওই মন্দির তৈরির জন্য আমরাও সহযোগিতা করব। জানা গিয়েছে, সোমবার জেলায় দিনভর গেরুয়া শিবিরের ঠাসা কর্মসূচি ছিল। সরাসরি অযোধ্যা থেকে জায়ান্ট স্ক্রিনে সম্প্রচার। তার মধ্যে পৃথক ভাবে রামসেনার উদ্যোগে সব ধর্মের যুবকদের নিয়ে বাইক মিছিল করা হয়।
রাম মন্দির নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
ঝাড়গ্রামে রামমন্দির হওয়া প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্যকে নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। শ্রীরামচন্দ্রকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপকুমার সরকার বলছেন, মন্দিরকে কেন্দ্র করে রাজনীতি ও পাল্টা রাজনীতিতে আমরা নেই। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডু বলছেন, রাম মন্দির (Ram Mandir) হওয়ার কথা শুনে যাঁরা ঐতিহ্য নষ্টের কথা বলছেন, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে তোষণের রাজনীতি করেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours