মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৬ সালে নিঠারি হত্যা মামলা (Nithari Case) নিয়ে সারাদেশ তোলপাড় হয়েছিল। মনীন্দ্র সিং পান্ধের এবং তার পরিচারক সুরেন্দ্র কোহলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, যুবতী ও কিশোরীদের ধর্ষণ করে বাড়িতে তাদেরকে হত্যা করার। এরকম ১৯টি নরকঙ্কাল উদ্ধার হয় উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ব্যবসায়ী মনীন্দ্র পান্ধেরের বাড়ি থেকে। এই মামলায় নিম্ন আদালতেররায়ে তাদের ফাঁসি সাজা ঘোষণা হলেও, এলাহাবাদ হাইকোর্ট এদিন দুইজনেরই ফাঁসির সাজা রদ করল। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরেন্দ্রকে বারটি মামলা এবং মনিন্দ্রকে দুটি মামলায় (Nithari Case) বেকসুর ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত। তাতেই তাদের ফাঁসির সাজা রদ হল।
খুন-ধর্ষণের পরে প্রেসার কুকারে মৃতদেহ সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলত অভিযুক্তরা
২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ একের পর এক যুবতী,কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করে নিঠারিতে। মনীন্দ্রর বাড়ির সামনে ড্রেন থেকে উদ্ধার হয় মাথার খুলি। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর মনীন্দ্রর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি নরকঙ্কাল। তদন্তে উঠে আসে যে এই সমস্ত শিশু এবং কিশোরীদের হত্যা করার পর তাদেরকে ধর্ষণ করে মণীন্দ্র পান্ধের এবং সুরেন্দ্র কোহলি। শুধু তাই নয় আরও মারাত্মক অভিযোগ, সমস্ত প্রমাণ লোপাটের জন্য হত্যার পরে মৃতদেহ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে খেয়েও ফেলেছিল তারা। এই হত্যা মামলায় (Nithari Case) বাঙালি তরুণী পিঙ্কি সরকারেরও কঙ্কাল উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন পিঙ্কি এবং তাঁকেও যৌন নির্যাতনের পর খুন করে মনীন্দ্র এবং কোহলি।
১৯টি মামলা দায়ের হয় মনীন্দ্র ও কোহলির বিরুদ্ধে
মোট ১৯ টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে যায় প্রমাণের অভাবে। কিন্তু বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে ৭টিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় সুরেন্দ্র কোহলিকে। মণীন্দ্র পান্ধের অবশ্য জামিনে ছাড়া পেয়েছিল। পরে পিঙ্কি খুনের মামলায় (Nithari Case) তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তদন্তকারী সংস্থার এও দাবি যে দুই অভিযুক্ত নিজেরাই স্বীকার করেছে যে তারা শিশুদের ধর্ষণ ও খুন করে তাদের মাংস সেদ্ধ করে খেয়েছিল প্রেসার কুকারে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours