Ration Distribution Scam: রাত ১২টার পর ঘোরে খেলা, তার জেরেই কাকভোরে গ্রেফতার হয়েছিলেন বালু!

মন্ত্রীকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন ইডির আধিকারিকরা...
Jyotipriyo_Mallick
Jyotipriyo_Mallick

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা কুড়ি ঘণ্টা ধরে চলেছিল তল্লাশি। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নাগাড়ে জেরাও করেছিলেন ইডির তদন্তকারী (Ration Distribution Scam) আধিকারিকরা। ইডির জেরায় উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা বারবার অসলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন বলে ইডি সূত্রে খরব। তার পরেও রাজ্যের বনমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন ইডির আধিকারিকরা।

জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অসঙ্গতি

এভাবেই মধ্যরাত পেরিয়ে ভোর হয়ে যায়। তখনও ইডির আধিকারিকদের প্রশ্নবাণ সামলাচ্ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এর আগে অবশ্য মন্ত্রীমশাইয়ের আপ্ত সহায়ক অমিত দে-র বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। সেখানেই মেলে বেশ কিছু তথ্য। এই তথ্যের ভিত্তিতেই ফের শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব। ইডি আধিকারিকদের দাবি, এই পর্বেও তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তাঁর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হলে, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী কখনও জানান তিনি ওই ব্যক্তিকে চিনতেন না, কখনও আবার বলেন, চিনতেন, তবে ঘনিষ্ঠ নন। জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অসঙ্গতি খুঁজে পেয়ে এই পয়েন্টেই জোর দেন তদন্তকারীরা।

কাকভোরে গ্রেফতার

তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন, বাকিবুরের এই সম্পত্তি থেকে শুরু করে এই দুর্নীতির সমস্ত কাজ তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানতেন এবং তাঁকেই সমস্ত কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেনেবুঝেই। যদিও এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জানান, এ রকম কোনও বিষয় (Ration Distribution Scam) নেই। এর পরেই জ্যোতিপ্রিয় যে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন, তা জানানো হয় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলায় গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। ততক্ষণে ডেকে উঠেছে ভোরের কাক। প্রসঙ্গত, শুক্রবার কাকভোরে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। এদিনই আদালতে তোলা হলে জ্যোতিপ্রিয়কে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক।

আরও পড়ুুন: “তৃণমূলের ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়েছে, খুন হতে পারেন বালু”, আশঙ্কা দিলীপের

এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ধৃত বাকিবুরের অন্তত ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে নামে-বেনামে-আত্মীয়দের নামে। তদন্তকারীদের অনুমান, কালো টাকা সাদা করতেই এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা জেনেছেন, অন্তত ৬টি সংস্থায় শেয়ার রয়েছে বাকিবুরের। নিউ টাউন, রাজারহাট মায় পার্কস্ট্রিটেও তাঁর একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। রয়েছে একাধিক পানশালা, হোটেল। সম্পত্তি রয়েছে বিদেশেও (Ration Distribution Scam)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles