মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রক্ষকের গাড়িই প্রাণ কেড়ে নিল তিন তরতাজা যুবকের। আহত হয়েছেন মহিলা থানার আইসি এবং তাঁর গাড়ির চালক। গ্রামে এবং পরিবারে শোকের ছায়া। এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের বেপরোয়া গতিরই বলি হতে হল ওই যুবকদের। ঘটনাটি ঘটেছে কালীপুজোর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁর গোপালনগরে। নিহতরা হলেন অমিত মাঝি, সুজিত হালদার এবং তন্ময় কীর্তনীয়া। এঁদের মধ্যে দুজন ভিন রাজ্যে কাজ করেন। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। অমিত মাঝি বনগাঁর একটি ফিনান্স কোম্পানির কর্মী ছিলেন। মাস কয়েক আগে বিয়ে হয়েছে তন্ময়ের। অন্যদিকে সুজিতের একটি কন্যা সন্তান আছে।
কীভাবে ঘটল ঘটনা? (North 24 Parganas)
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের ওই গাড়িটি নাটাবেড়িয়া থেকে বনগাঁর দিকে যাচ্ছিল। উল্টোদিক থেকে আসছিল বাইকটি। পুলিশের গাড়ি সজোরে গিয়ে বাইকে ধাক্কা মারে। তিন যুবক বাইক থেকে ছিটকে পড়েন। পুলিশের গাড়িতে ছিলেন মহিলা থানার আইসি অপরাজিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এবং তাঁর গাড়ির চালক আহত হন। নিহত যুবকরা গোপালনগরের (North 24 Parganas) পাঁচপোতা এলাকার রথতলার বাসিন্দা। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
কী অভিযোগ?
এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিহতদের পরিবারের লোকজন। তাঁরা জানিয়েছেন, পুলিশের গাড়ি আসলে কোনও বাইকের পিছু ধাওয়া করেছিল। কালীপুজো উপলক্ষ্যে রাস্তায় ব্যাপক তল্লাশি চলছিল (North 24 Parganas)। সেই সময় পুলিশের বাধা অগ্রাহ্য করে একটি বাইক বেরিয়ে আসে। তাকেই পিছু ধাওয়া করে পুলিশের ওই গাড়ি। ফলে গাড়িটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এবং চরম বেপরোয়াভাবে চলছিল। ওই তিন যুবকের বাইক সামনে চলে এলে সেটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। সজোরে বাইকে ধাক্কা মারে। অন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের পাল্টা অভিযোগ, বাইকটিই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারে এবং তার জেরেই এই দুর্ঘটনা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours