মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই তদন্তের আসল জায়গাতেই বড় ফাঁক রয়ে গিয়েছে, অভিমত আদালতের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ, আব্দুল খালেক, তাপস মণ্ডল, শাহিদ ইমাম, শেখ আলি ইমাম এবং কৌশিক ঘোষকে। তাঁদের হেফাজতে চেয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে গেলে সিবিআইয়ের তদন্তের ধরন নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিচারক। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই পনির বাটার মসালা বানাবে ভাবছে অথচ পনিরই নেই তাদের কাছে!’’
সওয়াল-জবাব
সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে এদিন সরাসরিই প্রশ্ন তোলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের আইনজীবী। তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলকে তিন দিন হেফাজতে নিয়ে রাখলেও সিবিআই নতুন কিছু দেখাতে পারেনি। বাড়ি থেকে একটি মোবাইল এবং ল্যাপটপই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে শুধু। কিন্তু সরাসরি যোগের কোনও তথ্যই দেখাতে পারেনি সিবিআই। এর জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থনে তদন্তকারী অফিসার পাল্টা যুক্তি দেখাতে গেলে সেই যুক্তি খারিজ করে দেয় আদালত।
খালেকের অভিযোগ প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতিতে খালেকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর হয়ে সুপারিশপত্র পাঠিয়েছিলেন খালেক।’’এসএসসির সুপারিশ সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে ছিল উপদেষ্টা কমিটি। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সিবিআই তাদের হেফাজতের দাবিতে বলতে চেয়েছিল, শান্তিপ্রসাদের সঙ্গেই খালেকের যোগাযোগ ছিল। যা শুনে বিচারক বলেন, ‘‘এসপি সিনহাকে টাকা দেওয়ার কথা বলছেন, কিন্তু তাঁকেই তো এই মামলায় আপনারা হেফাজতে নেননি। পনির বাটার মসালা বানাবেন ভাবছেন, পনিরই নেই আপনার কাছে…!’’
আদালতে এদিন সিবিআই (CBI) দাবি করে, আলি ইমাম ৬ কোটি ৭ লক্ষ টাকা, শাহিদ ইমাম ১ কোটি ৪ লক্ষ এবং কৌশিক ঘোষ ১ কোটি ৯ লক্ষ টাকা তুলেছে চাকরি দেওয়ার নাম করে। আদালত সূত্রের খবর, শাহিদ ইমাম, আলি ইমাম এবং কৌশিক ঘোষ আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে চায়। এদিন আদালত তাপস, কুন্তল, নীলাদ্রিকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। অন্য চারজনের ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours