মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জোর করে ধর্মান্তকরণের (Religious Conversion) অভিযোগ। এক হিন্দু (Hindu) যুবককে জোর করে ইসলাম (Islam) ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কর্নাটকের ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেঙ্গালুরুর কংগ্রেসের প্রাক্তন কর্পোরেটর আনসার পাশা, তাঁর ভাই নয়জ পাশা, জনৈক হাজি সাব, আতাউর রহমান এবং সোয়েব। এঁদের মধ্যে দুজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় বাকি তিনজনকে। নয়জ পাশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তামিলনাড়ু থেকে।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, কর্নাটকের মান্ড্য এলাকার বাসিন্দা দলিত যুবক জনৈক শ্রীধর গঙ্গাধর প্রথমে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত (Religious Conversion) হতে চেয়েছিলেন। কারণ তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখানো হয়েছিল। পরে মুসলমান করতে শ্রীধরের সুন্নতও করানো হয়। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় নগদ ৫০ হাজার টাকাও। পুলিশের দাবি, এর পর আর ইসলামের দিকে ঝুঁকতে চাননি শ্রীধর। যদিও অভিযুক্তরা তাঁকে বাধ্য করেছিল বলে অভিযোগ। এর পরেই বছর পঁচিশের শ্রীধর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, অভিযুক্তরা তাঁর সম্মতি ছাড়াই তাঁর নাম বদলে করে দেন মহঃ সালমান। শ্রীধরের অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জনের নামে দায়ের হয় মামলা। যার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচজনকে। এর মধ্যেই রয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন কর্পোরেটর আনসার পাশা। তিনি স্থানীয় বিধায়কের ঘনিষ্ঠও।
আরও পড়ুন: হিজাব-বিতর্ক বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ! সুপ্রিম কোর্টে কী বলল কর্নাটক সরকার?
শ্রীধরের দাবি, অভিযুক্তরা নব মুসলিম নামে একটি গোষ্ঠী তৈরি করেছিলেন। এই গ্রুপের সদস্যদের দেখিয়ে ইরাক-ইরান থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন। ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টাও চালাচ্ছিল এই গোষ্ঠী। শ্রীধর বলেন, অভিযুক্তরা আমাকে অচৈতন্য করতে কালো রংয়ের কোনও তরল খাইয়ে দেন। পরে করা হয় সুন্নত। জোর করে গো-মাংসও খাওয়ানো হয় আমাকে। শ্রীধরের আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা তাঁকে একটি রিভলভার দেখিয়ে ভয় দেখান। তাঁর হাতে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। সেই ছবি মোবাইল বন্দি করে অভিযুক্তরা ভয় দেখান, ঘটনার কথা কাউকে বললে তাঁর ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে। দেগে দেওয়া হবে সন্ত্রাসবাদী বলে। ভয়ে প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের না করলেও, পরে অবশ্য করেন। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের কয়েকজনকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours