PM Modi: “টাকার বিনিময়ে চাকরির কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে”, নাম না করে মমতাকে নিশানা মোদির

"নার্স, কেরানি, শিক্ষক প্রত্যেক পদের আলাদা আলাদা রেট"...
ivk3kedg_pm-modi-new-parliament_625x300_28_May_23
ivk3kedg_pm-modi-new-parliament_625x300_28_May_23

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম না করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (PM Modi) এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে একযোগে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি ‘রোজগার মেলা’র (Rozgar Mela) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিলি করা হয় ৭০ হাজার নিয়োগপত্র। পরে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি নিশানা করেন মমতা এবং লালুকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারগুলি কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করেনি। তারা শুধুমাত্র দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।”

কাটমানি

বাংলার নাম না করে তিনি বলেন, “এ রাজ্যে কাজ পেতে গেলে কাটমানি দিতে হয়। পৃথক পৃথক কাজের জন্য আলাদা রেট অর্থাৎ কত টাকা দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করা আছে।” এই দলগুলির রেটকার্ডের বিপরীতে তাঁর সরকার দেশের যুবদের চাকরি সেফগার্ড করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি, দেশের এক রাজ্যে নগদের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। তদন্তে গুরুতর কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। সরকারি চাকরির প্রত্যেক পদের জন্য আলাদা আলাদা রেট ঠিক করা হয়েছে। এই রেটকার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের লুঠ করা হচ্ছে। যদি সাফাইকর্মীর কাজ চান, তার জন্য আলাদা রেট। গাড়িচালকের কাজের আলাদা রেট। নার্স, কেরানি, শিক্ষক প্রত্যেক পদের আলাদা আলাদা রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।”   

জমির বদলে চাকরি

জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রাসাদ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। এদিন নাম না করে সে প্রসঙ্গও তোলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে আরও একটি মামলা সামনে এসেছে। এক প্রাক্তন রেলমন্ত্রী রেলে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে দরিদ্র কৃষকদের জমি কেড়ে নিয়েছেন। জমির বদলে চাকরি দেওয়ার এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে ভাষা বিতর্কের প্রসঙ্গও।

আরও পড়ুুন: কোউইন পোর্টাল সম্পূর্ণ নিরাপদ, তৃণমূল নেতার অভিযোগ উড়িয়ে সাফ জানাল কেন্দ্র

তিনি বলেন, “দেশে কিছু কিছু দল ভাষার ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে। ভাষার ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করতে চাইছে, হিংসা ছড়াতে চাইছে। আমার সরকার সব সময় চেষ্টা করে চলেছে যাতে দেশের যুব সমাজের স্বপ্ন পূরণের পথে ভাষা কোনও প্রতিবন্ধকতা হয়ে না দাঁড়ায়। এই লক্ষ্যেই প্রবেশিকা পরীক্ষা যে কোনও ভাষায় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles