S Jaishankar: জয়শঙ্করের মুখে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রশস্তি, কেন জানেন?  

পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা এবং পারস্পারিক স্বার্থের যে মৌলিক বিষয়গুলি নিয়ে...
atal_bihari
atal_bihari

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Behari Bajpayee) ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ১৯৯৮ সালে নিউক্লিয়ার টেস্টের (Nuclear Test) পর বাজপেয়ী কীভাবে নিজস্ব কৌশলে কূটনৈতিক সমস্যার সমাধান করেছিলেন, এদিন তা-ই মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, ওই নিউক্লিয়ার টেস্টের পর দু বছরের মধ্যেই বিশ্বের প্রধান দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ফেলেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী।

অটল বিহারী বাজপেয়ী...

নয়াদিল্লিতে অটল বিহারী বাজপেয়ী স্মারক বক্তৃতায় যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তাঁর আগে বলতে উঠেছিলেন সিঙ্গাপুরে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বিলাহারি কৌশিকান। তাঁর পরে বক্তৃতা দিতে উঠে জয়শঙ্কর অটল বিহারী বাজপেয়ীর অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন। তিনি জানান বাজপেয়ী বিদেশমন্ত্রী হিসেবেও সফল। আমেরিকা ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের গাঁটছড়া শক্ত করতে তাঁর কী ভূমিকা ছিল, তাও মনে করিয়ে দেন। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা এবং পারস্পারিক স্বার্থের যে মৌলিক বিষয়গুলি নিয়ে এখন চিনের সঙ্গে কথা হচ্ছে, তার সিংহভাগ কৃতিত্ব অটল বিহারী বাজপেয়ীর।

আরও পড়ুুন: মঙ্গলে কুন্তল-তাপসকে বসিয়ে মুখোমুখি জেরা! নীলাদ্রির ‘পরিচয়’ মিলবে এদিনই?

জয়শঙ্কর জানান, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে ভয় পেতেন না বাজেপয়ী। তাঁর বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গিরও এদিন অকুণ্ঠ প্রশংসা করেন বিদেশমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদ দমন করতে তিনি সমস্ত রকম পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে পোখরানে নিউক্লিয়ার টেস্ট করে ভারত। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, ওই পরীক্ষা নিয়ে ভাবতে হবে না। সেই পরীক্ষার পর কীভাবে দৌত্য সফল করেছিলেন বাজপেয়ী, সেটাই আমাদের স্মরণ করতে হবে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ওই পরীক্ষার মাত্র দু বছরের মধ্যেই আমরা বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ফেলেছিলাম। তাদের আমরা পাশে পেয়েছিলাম। জয়শঙ্কর বলেন, সেই সময় আমি জাপানে পোস্টিং ছিলাম। ওই পরীক্ষার জেরে জাপানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু আমরা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সাহস পাচ্ছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমরা কোনও না কোনও পথ (সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে) খুঁজে পেয়ে যাব। তিনি বলেন, তাঁর সেই কথা আমি আজও ভুলিনি। তাঁর প্রজ্ঞা এবং দূরদৃষ্টির কথা ভাবলে আমি আজও বিস্মিত হই।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles