মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলার রতুয়া দুই নম্বর ব্লকের মহারাজপুর এলাকায় বিপুল পরিমাণে এটিএম কার্ড (Atm Card) উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে। পরিত্যক্ত পুকুরের পাড় থেকে এক বস্তা এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে, যার ওজন প্রায় ১০ কেজি। এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। এত এটিএম কার্ড কীভাবে এলাকায় পৌঁছল? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হন স্থানীয়রা।
কী করে মিলল এতো এটিএম কার্ড?
পাড়ারই একটি অল্পবয়সী ছেলে সকালে গিয়েছিল পুকুরপাড়ে। সেখানেই সে ওই মুখবাঁধা বস্তাটি দেখতে পায়। হাইস্কুলের পিছনে একটি গর্তের মধ্যে সেটি ছিল। তারপর সে সেটি বাড়ি নিয়ে আসে। কিন্তু তার দাবি, ভিতরে কী আছে না দেখেই সেটি সে বিক্রি করে দেয়। অন্যদিকে, পড়ে থাকা কিছু এটিএম কার্ডে (Atm Card) পাড়ারই পরিচিতদের নাম দেখে সন্দেহ হয় কয়েকজনের। তারা তেমনই একটি কার্ড নিয়ে হাজির হয় এক যুবকের কাছে, যার বাবার নামে ছিল একটি কার্ড। ওই যুবক তখন পুরো বিষয়টির ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন। তারপরই ধীরে ধীরে বিষয়টি জানাজানি হয়।
কোন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড?
মালদার রতুয়া ২ ব্লকের মহারাজপুর এলাকায় রয়েছে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক-এর একটি শাখা। এর ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বস্তাভর্তি এটিএম কার্ড (Atm Card) উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে, এই এটিএম কার্ডগুলির বাতিল হওয়ার সময়সীমা এখনও বাকি রয়েছে। বহু কার্ডেই দেখা যাচ্ছে, এক্সপায়ারি ডেট লেখা রয়েছে ২০২৪, ২০২৫ বা ২০২৬ সাল। গ্রাহকদের নামে তৈরি হওয়া এই এটিএম কার্ড কী করে ফেলে দেওয়া হল, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা।
সবই বাতিল এটিএম কার্ড, জানাল কর্তৃপক্ষ
গোটা ঘটনায় বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই এটিএম কার্ড (Atm Card) থেকে কোনও গ্রাহকের ক্ষতি হবে না। এটিএম কার্ড তৈরি হলেও কোনও গ্রাহকের কাছে ইস্যু করা হয়নি। তাদের ভাষায়, এগুলি রিজেক্টেড। এ থেকে একটা টাকাও তোলা যাবে না। বাতিল হওয়ার কারণেই এগুলি বস্তার মধ্যে ভরে রাখা ছিল। তাই কীভাবে সেটি ওই জায়গায় গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours