মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুটি ওয়ার্ডে সেইল-এর জমিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল দুর্গাপুর (Durgapur)। ঠিক তখন সাংবাদিক বৈঠকে দুর্গাপুরের ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সেইল-এর জমিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে মানুষের পাশেই থাকলেন বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া। বিজেপি সাংসদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করলে বুলডোজারের সামনে আমি রুখে দাঁড়াবো। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সেইল-এর অধীনস্থ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা এবং মিশ্র ইস্পাত কারখানার জমি দখল করে বসবাসকারী মানুষদের উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়াতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
নিজের বাড়িতে (Durgapur) সাংবাদিক সম্মেলন
সেইল উচ্ছেদের নোটিশ দিতেই পুনর্বাসবের দাবিতে দুর্গাপুরের ৩২ এবং ৩৩ নং ওয়ার্ডের মানুষ বিক্ষোভে নেমেছে। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা হলে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্রর সিং আলুওয়ালিয়ার। শনিবার সকালে দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে সাংসদ বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির সম্প্রসারণ করতে যেমন জমির প্রয়োজন, তেমনি ওই জমির উপর বসবাসকারী মানুষদের উচ্ছেদ করতে গেলে পুনর্বাসনের প্রয়োজন। পুনর্বাসন যতক্ষণ না দেওয়া হবে, ততক্ষণ জমি কেউ ছাড়বেন না। কেন্দ্রীয় সংস্থা উচ্ছেদ করতে গেলে বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে উচ্ছেদ রুখবো। দুর্গাপুর (Durgapur) থেকে কড়া হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদের।
আরও কী বললেন বিজেপি সাংসদ?
এছাড়াও তিনি জানান, তিনি সাংসদ হওয়ার আগে দুর্গাপুর (Durgapur) ইস্পাত কারখানা অর্থাৎ সেইল-এর আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ সমস্ত রাজনৈতিক দলই চেয়েছে, সাধারণ মানুষ চেয়েছে, আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু ইস্পাত কারখানার সম্প্রসারণ তো আর হাওয়ায় হবে না, তার জন্য জমি দরকার। কিন্তু যাঁরা এত বছর ধরে বসবাস করছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা আগে করতে হবে এবং সেজন্য সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে একমত হতে হবে। কারণ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সম্প্রসারণ হলে তাতে উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি হবে, তেমন কর্মসংস্থানও বাড়বে। কিন্তু জমির জন্য তা করা যাচ্ছে না। তাই বসবাসকারীরা জমি ছেড়ে দিলে এই কারখানা আরও বৃহৎ আকার ধারণ করবে। তবে তার আগে পুনর্বাসন হওয়াটাও ভীষণভাবে জরুরি। যাঁরা এত বছর ধরে বসবাস করছেন, তাঁদের সঙ্গে তিনি রয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours