Same Sex Marriage: সমকামীরা দৈনন্দিন জীবনে কী কী সমস্যায় পড়েন? জানতে কমিটি গঠন কেন্দ্রের

সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি নিয়ে শুনানি চলার সময়ে সুপ্রিম কোর্টে একথা জানান  কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
1616066711_supreme-court-4
1616066711_supreme-court-4

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমকামী কিংবা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা দৈনন্দিন জীবনে কী কী সমস্যায় পড়েন, তা বিবেচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করবে কেন্দ্র। এলজিবিটিকিউআইএ প্লাস সম্প্রদায়ের ‘প্রকৃত মানবিক উদ্বেগগুলি’ খুঁজে বার করা হবে, বলে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে  (Supreme Court) জানান  কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। এদিন, সুপ্রিম কোর্টে সমলিঙ্গ বিবাহের (Same Sex Marriage) জন্য আইনি মর্যাদা চেয়ে আবেদনের শুনানি ফের শুরু হয়। শুনানির সময় কেন্দ্রের তরফে দেশের শীর্ষ আদালতকে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।

কমিটির নেতৃত্বে ক্যাবিনেট সচিব

গত ২৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে সমলিঙ্গ বিবাহের (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি নিয়ে শুনানি চলার সময়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, সমকামী বিবাহকে বৈধ করার প্রশ্নে না গিয়েই কি সমকামী দম্পতিদের জন্য সামাজিক সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে? সেই প্রশ্নের জবাবেই এই কমিটি গঠন করার কথা জানাল কেন্দ্র।  বুধবারের শুনানিতে কেন্দ্র শীর্ষ আদালতকে জানিয়ে দিল, সমকামী জুটিদের সামাজিক চাহিদা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। ক্যাবিনেট সচিব ওই কমিটিকে নেতৃত্ব দেবেন।

কমিটির দায়িত্ব

বর্তমানে যৌথ ভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে কিংবা কোনও বিমা বা সঞ্চয়ী প্রকল্পে নমিনির নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় সমকামী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের। দৈনন্দিন জীবনে তাঁদের আর কী কী সমস্যায় পড়তে হয়, তা-ই খুঁজে দেখতে চাইছে কেন্দ্র। এদিনও সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে। তিনি দাবি করেন, সমকামী বিবাহের বিষয়ে ইউরোপীয় ঐক্যমত্য রয়েছে কথাটা ঠিক নয়। তাঁর কথায়,"৪৬টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৬টিতেই সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।"

আরও পড়ুুন: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

আদালতের অভিমত

আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, কমিটি গঠনের থেকেও অনেক বেশি কিছু করতে হবে। আইনের বদল দরকার। জবাবে সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি হিমা কোহলি বলেন, “একবারে এক এক পা করেই এগোনো উচিত। শুনানি চলাকালীন কেন্দ্র এই কথা জানিয়েছে।” প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “সলিসিটর জেনারেল মেনে নিয়েছেন, দুটি মানুষের একসঙ্গে বসবাস করার অধিকার আছে এবং এই সামাজিক বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, পিএফ, বিমা ইত্যাদির সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। কাজেই, এটা আপনার জন্য এক ধাপ অগ্রগতি।”

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles