মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shajahan) ১২.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সন্দেশখালি, সরবেরিয়া এবং কলকাতায় রয়েছে সে সব জমি, ফ্ল্যাট, ভেড়ি রয়েছে। মঙ্গলবারই সন্দেশখালি (Sandeshkshli) মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইডি (ED) জানিয়েছে, তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-র (PMLA) আওতায়, ‘প্রভিশনালি’, অর্থাৎ, অস্থায়ীভাবে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইডির নজরে কোন কোন জায়গা
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইডি (ED) জানিয়েছে, বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ, বিভিন্ন অস্থাবর সম্পত্তির আকারে লুকিয়ে রেখেছে শাহজাহান (Sheikh Shajahan)। এর মধ্যে ১৪টি স্থাবর সম্পত্তি এবং আরও কিছু অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। ১৪টি স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে সরবেড়িয়া গ্রাম, সন্দেশখালি (Sandeshkshli) এবং কলকাতায় থাকা শাহজাহানের অ্যাপার্টমেন্ট, কৃষিজমি, মৎস্য চাষের জমি, বসত এলাকার জমি ও ভবন ইত্যাদি। এছাড়া, শাহজাহানের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ‘অ্যাটাচ’ করা হয়েছে। রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় বেশ কিছুদিন ধরেই ইডির আতসকাঁচের নীচে ছিলেন শাহজাহান। তাঁর বিপুল সম্পত্তি র খোঁজও চলছিল। গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা হয়েছিল।
আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
আদালতের পর্যবেক্ষণ
ইডির (ED) উপর হামলা, রেশন কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকা ছাড়াও শাহজাহান (Sheikh Shajahan) ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি (Sandeshkshli) এলাকায় জোর করে জমিদখল, মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতারের পর, রাজ্য পুলিশের হেফাজতেই আছেন তিনি। মঙ্গলবারই, কলকাতা হাইকোর্ট শাজাহানকে সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে জরুরি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই মঙ্গলবার বিকেলে শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছেও সন্দেশখালির বাঘকে ছাড়াই ফিরে যেতে হয় সিবিআইকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours