Sandeshkhali: আন্দোলনকে প্রশমিত করতেই কি সন্দেশখালিতে পুলিশের স্বাস্থ্য শিবির?

জনসংযোগের নামে পুলিশের স্বাস্থ্য শিবির কি উদ্দেশ্য প্রণোদিত?
Sandeshkhali
Sandeshkhali

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জনসংযোগ করতে এলাকায় স্বাস্থ্য ও চোখ পরীক্ষা শিবিরের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকার খুলনা বাজার, শান্তির ঘেরি, পাত্র পাড়া এবং ন্যাজাট এলাকায় দুবেলা টহল দিতে শুরু করেছে। এলাকায় মানুষের অসুবিধার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একশো দিনের কাজের মজুরি দেওয়ার পাশাপাশি বিডিও সহ সরকারি আধিকারিকরা জানতে চাইছেন আর কী কী সমস্যা? কিন্তু এলাকার মানুষের প্রশ্ন, পুলিশের কেন এই জনসংযোগ? যে পুলিশ এলাকার মানুষের অভিযোগ দায়ের করেনি, এমনকী মিথ্যা কেস দিয়েছিল এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে, সেই পুলিশ এতো মানবিক কেন? এদিন বারাসতে মোদির সভায় নিপীড়িত মহিলাদের আমন্ত্রণ করলে তাঁদেরকেও তলব করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। ফলে এই শিবিরের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই তো? এলাকাবাসীর মনে উঠছে নানা প্রশ্ন।

পুলিশের জন সংযোগ কেন (Sandeshkhali)?

সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, সিরাজ, শিবু, উত্তম, আমির আলির মতো নেতাদের দৌরাত্ম্যে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের সাধারণ জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত ছিল। বাড়ির মহিলাদের রাতে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে শারীরিক নিগ্রহ করা হত। শুধু তাই নয়, মানুষের চাষের জমি, মাছের ক্ষেত, বোমা বন্দুকের ভয় দেখিয়ে জোর করে দখল করে নেয় তৃণমূলের গুন্ডারা। থানায় অভিযোগ করতে গেলে এলাকার মানুষকে তৃণমূল নেতা শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজদের অনুমতির নিদান দিত পুলিশ। সাধারণ মানুষের কোনও কথাই পুলিশ শুনতে চায়নি। গত ৫ই জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের উপর হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন তৃণমূলের শেখ শাহজাহান। ঘটনার ৫৬ দিন পর পুলিশ মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করে তাকে। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির মানুষ নানা সময়ে হাতে লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ মানুষের আইনী সহযোগিতা করেনি, বরং প্রতিবাদী মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছিল বলে এলাকার মহিলারা অভিযোগ করেন। ইতিমধ্যে লোকসভা ভোটের আগেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ শুরু করেছে। এই অবস্থায় পুলিশের লোক দেখানো স্বাস্থ্য শিবির কতটা কাজে লাগবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষ।

পুলিশের বক্তব্য

এই শিবিরে আজ উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ২-এর বিডিও অরুণকুমার সামন্ত এবং সন্দেশখালি থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপুই। স্বাস্থ্য শিবিরে বিডিও গ্রাম বাসীদের বলেন, “ভয়-ভীতির পরিবেশ নেই এখন। আপনাদের যার যা অভিযোগ আছে, পুলিশের কাছে বা আমাকে জানাবেন।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles