কী বলছেন এই পদ্ধতির আবিষ্কারক বাঙালি বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্ত
বাঙালি বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্ত
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি কার্বন শোষণ (Carbon Capture) করে তা সমুদ্রে সংরক্ষণ করার নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এই নয়া পদ্ধতিতে প্রথমে কার্বন সংগ্রহ করা হবে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে পরে তা পরিবর্তিত করা হবে বেকিং সোডাতে। সাধারণভাবে বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি কার্বন সংগ্রহ(Carbon Capture) করার পদ্ধতি খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। কিন্তু নতুন এই গবেষণা, খরচ অনেকটাই কম করবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। গবেষকরা বলছেন, কার্বন সংরক্ষণের (Carbon Capture) এটা অনেক সহজ পদ্ধতি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বায়ুমণ্ডল থেকে সংগৃহীত কার্বন সংরক্ষণ (Carbon Capture) করার অসীম ক্ষেত্র হল সমুদ্র। আঠা এবং কিছু রাসায়নিক যৌগের সাহায্যে কার্বনকে বেকিং সোডায় পরিবর্তিত করা হবে, তারপর তা সমুদ্রের জলে মেশানো হবে। গবেষকদের দাবি, বেকিং সোডা সমুদ্রের জলে মেশালে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়না।
আরও পড়ুন: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?
এই গবেষণার তত্ত্বাবধান করছেন বাঙালি বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্ত। তিনি বর্তমানে বেথলেহেমের লিহাই বিশ্ববিদ্যালেয় অধ্যাপক। তাঁর মতে, নতুন এই পদ্ধতি পূর্বের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত কাজ করবে এবং তা খরচ সাশ্রয়ীও বটে। তাঁর মতে, এই নয়া পদ্ধতিতে অনেক বেশি পরিমাণ কার্বনকে কম ঘনত্বের উপাদানের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যাবে। তিনি আরও বলেন পুরনো পদ্ধতিতে কার্বনকে সংরক্ষণ (Carbon Capture) করা হত মাটির নীচে। নতুন পদ্ধতিতে কার্বনকে বাইকার্বনেটে (বেকিং সোডা) রুপান্তরিত করে তা সমুদ্রের জলে সংরক্ষণ করা যাবে।
বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্তের পরিকল্পনা রয়েছে একটি প্রযুক্তি সংস্থা তৈরি করার এবং তা কাজ করবে কার্বন সংরক্ষণের (Carbon Capture) ওপর। বাঙালি বিজ্ঞানী বলছেন, এরমাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে খুব তাড়াতাড়ি ১০০টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ কের নেওয়া সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধির ফলে বাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: