Atmospheric Electricity: মৌমাছি বাযুমন্ডলে ১০০ থেকে ১,০০০ ভোল্ট বিদ্যুত উৎপন্ন করে...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশে প্রতিটি জীবকূলই গুরুত্বপূর্ণ, তা যতই ক্ষুদ্র হোক না কেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় তা আবারও প্রমাণিত হলো। গবেষণায় জানা গিয়েছে ,জীবন্ত জীবগোষ্ঠী বায়ুমণ্ডলীয় বিদ্যুতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি কীটপতঙ্গ বায়ুমণ্ডলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে।
গবেষকরা সম্প্রতি একটি গবেষণায় এক ঝাঁক মৌমাছির পারিপার্শ্বিক ক্ষেত্র পরীক্ষানিরীক্ষার সময় বায়ুমণ্ডলীয় বৈদ্যুতিক চার্জ লক্ষ্য করেছে। গবেষকদের মতে, এই ধরনের বিদ্যুৎ মূলত আবহাওয়ার প্রকৃতি নির্ধারণের পাশাপাশি তাকে প্রভাবিতও করতে পারে, আর এর মাধ্যমে কীটপতঙ্গেরা সহজেই খাদ্য খুঁজে পায়।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক জীববিজ্ঞানী এবং লেখক এলার্ড হান্টিং বলেছেন, পদার্থবিজ্ঞান কীভাবে জীববিজ্ঞানকে প্রভাবিত করে তা নিয়েই এই গবেষণা। গবেষণার ফলে জানা গিয়েছে জীববিদ্যাও পদার্থবিদ্যাকে প্রভাবিত করতে পারে।
A new phenomenon discovered by chance. 🐝
— European Research Council (ERC) (@ERC_Research) October 29, 2022
ERC grantee Daniel Robert @BristolUni has found that the electric charge of honeybees can cause changes in the #electricity of the atmosphere.
See 👉 @CNN: https://t.co/5DB6tTF19O@BristolBioSci pic.twitter.com/t1rsO626uF
">
গবেষকদের মতে বেশিরভাগ জীবন্ত পতঙ্গের মতো মৌমাছিও একটি সহজাত ভাবে বৈদ্যুতিক চার্জ বহন করতে পারে। গবেষণা দলটি খুঁজে পেয়েছে যে মৌমাছির ঝাঁক প্রতি মিটারে ১০০ থেকে ১,০০০ ভোল্ট বায়ুমণ্ডলীয় বিদ্যুত উৎপন্ন করে,যা ভূ-স্তরেও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের শক্তি বৃদ্ধি করতে সক্ষম। গবেষকরা এমন একটি মডেল তৈরি করেছেন যে যার মাধ্যমে সহজেই অন্যান্য প্রজাতির কীটপতঙ্গের উপস্থিতির পূর্বাভাস দিতে পারে। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জীববিজ্ঞানী ও সহ-লেখক লিয়াম ও'রিলি' র মতে, কীটপতঙ্গের ঝাঁক বায়ুমণ্ডলীয় বিদ্যুৎকে প্রভাবিত করতে পারে তাদের ঘনত্ব এবং আকারের উপর নির্ভর করে।
অপর এক বিজ্ঞানী এলার্ড বলেছেন “আমরা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছি যে জীববিজ্ঞান এবং বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রগুলি একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। তাদের মধ্যে এমন অনেকগুলি সম্পর্ক রয়েছে যা বিভিন্ন স্থানিক স্কেলেও বিদ্যমান থাকতে পারে। মাটিতে জীবাণু এবং উদ্ভিদ-পরাগায়নকারীর মিথস্ক্রিয়া থেকে শুরু করে কীটপতঙ্গের ঝাঁক থেকে বিদ্যুৎ সৃষ্টির মতো নানা বিষয় এই গবেষণাপত্রটিতে প্রকাশিত হয়েছিল।