India's Mighty Mission: ১৪ জুলাই, ২০২৩ ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এক সোনালি অধ্যায়
চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে অতিক্রান্ত এক বছর। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক সোনালি অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। এই দিনে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছিল চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan-3)। সফল এই চন্দ্রাভিযান ভারতকে এক লহমায় মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এলিট ক্লাসে উঠিয়ে দিয়েছিল। এই অভিযান দেশের মুকুটে যোগ করেছে নতুন পালক।
কোটি কোটি ভারতবাসী আশা-স্বপ্নের এক উড়ান হয়ে চাঁদকে ছুঁয়ে দেখার নেশায় ঠিক এক বছর আগে চাঁদের উদ্দেশে ছুটে গিয়েছিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। এরপর এক মাসের বেশি সময় পর পূরণ হয়েছিল আপামর ভারতবাসীর স্বপ্ন। ২৩ অগাস্ট সফল ভাবে চাঁদকে ছুঁয়ে দেখেছিল ভারতের চন্দ্রযান। বিশ্বের মধ্য়ে চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদ জয়ের খেতাব অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের পালক জুড়েছিল ভারতের মুকুটে। চন্দ্রযানের সাফল্যের পর বিশ্বের দরবারে ভারতের মহাকাশ গবেষণার কদর বহুগুণ বেড়েছে।
চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতার পর বেশ কয়েক বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছিলেন চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। 'চাঁদের বাড়ি' সব গল্প জানার জন্য তৈরি হয়েছিল ভারত। চাঁদের বুকে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে নানা অজানা তথ্যের সন্ধান দিয়েছে চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে আরও সমৃদ্ধ হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ল্যান্ডার 'বিক্রম' চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর কাজে নামে রোভার 'প্রজ্ঞান'। চাঁদের মাটিতে শুরু হয় তার পথ চলা। পরবর্তী দুই সপ্তাহে চাঁদের মাটিতে ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করে সেটি। চাঁদের মাটিতে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পাশাপাশি, পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাতে শুরু করে। রোভার 'প্রজ্ঞানে'র পাঠানো একাধিক তথ্য মহাকাশ গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চাঁদের মাটির মূল উপাদানগুলিকে শনাক্ত করতে সফল হয় সে। চাঁদের মাটিতে সালফারের খোঁজ পায়।
আরও পড়ুন: নাসায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ঋত্বিকা
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে আবিষ্কারটি করে রোভার 'প্রজ্ঞান', তা হল, চাঁদের মাটিতে জলের অণুর উপস্থিতি। ভবিষ্যতের চন্দ্রাভিযান তো বটেই, আগামী দিনে চাঁদে উপনিবেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা, এই আবিষ্কার সেই কাজের সহায়ক হবে আগামী দিনে। চাঁদের ভৌগলিক ইতিহাস সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছে চন্দ্রযান-৩। বিশেষ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুরু ভৌগলিক পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গিয়েছে। চাঁদের মাটিতে শিলার গঠন সম্পর্কেও তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।