চন্দ্রযান-৩ রেকর্ড করল কোন ‘প্রাকৃতিক’ ঘটনা, উত্তরের খোঁজে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
কেঁপে উঠল চাঁদের মাটি! তথ্য পাঠাল প্রজ্ঞান।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদেও কি ভূমিকম্প হয়? বৃহস্পতিবার ইসরো চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3 Update) মিশন পরিচালিত আরেকটি ইন-সিটু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে। সেখানেই মিলেছে এই মহাজাগতিক ঘটনার প্রমাণ। লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি (ILSA) নতুন একটি তথ্য রেকর্ড করেছে। ঘটনাটিকে 'স্বাভাবিক' বলে মনে করছে ইসরো। তবে এবিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
ইসরোর তরফে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান-৩ মিশন, ইন-সিটু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্র - চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডারে লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি (আইএলএসএ) পেলোড চাঁদে প্রথম মাইক্রো ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেম (এমইএমএস) প্রযুক্তি-ভিত্তিক যন্ত্র রোভারের ও অন্যান্য পেলোডের গতিবিধি রেকর্ড করেছে। উপরন্তু ২৬ অগাস্ট ২০২৩-এ এমন একটি ঘটনা রেকর্ড করেছে যা একটি 'স্বাভাবিক' ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। তবে এবিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।
Chandrayaan-3 Mission:
— ISRO (@isro) August 31, 2023
In-situ Scientific Experiments
Radio Anatomy of Moon Bound Hypersensitive Ionosphere and Atmosphere - Langmuir Probe (RAMBHA-LP) payload onboard Chandrayaan-3 Lander has made first-ever measurements of the near-surface Lunar plasma environment over the… pic.twitter.com/n8ifIEr83h
চাঁদের মাটিতে নানান ধরনের বিষয় নিয়ে গবেষণা করছে ইসরো। চন্দ্রযান-৩ তাতে সাহায্য করছে। আর চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3 Update) এর খুঁজে বের করা জিনিসপত্রের ফলাফল থেকেই দেখা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে কম্পন খেলে যাওয়ার বিষয়টি ‘প্রাকৃতিক'। এছাড়াও, রোভার প্রজ্ঞান ও বাকি পেলোড চাঁদের মাটিতে চলাচলের ফলে যে কম্পন হচ্ছে, তাও রেকর্ড করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো। চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডারে ‘ইনসট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসেমিক অ্যাক্টিভিটি পে লোড’ নিজের কাজ চালাচ্ছে। তার দৌলতেই চাঁদের মাটিতে কিছু ‘মুভমেন্ট’ রেকর্ড করতে পারা গিয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান
চন্দ্রযান-৩ এর ‘ইনসট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসেমিক অ্যাক্টিভিটি পে লোড’ -এর কাজ হল চাঁদের মাটিতে কোথায় স্বাভাবিক কম্পন হচ্ছে, কোথায় কম্পনের প্রভাব রয়েছে, আর্টিফিশিয়াল কোনও ঘটনা ঘটছে কি না, তার সম্পূর্ণটা রেকর্ড করা। সামনে এসছে আরও একটি তথ্য। ইসরো বিজ্ঞানীরা প্রথমে ভেবেছিলেন, চাঁদের যে অংশে বিক্রম অবতরণ করেছে, সেখানকার তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। কিন্তু সেই ভাবনা ছিল ভুল। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মতে, সেখানকার তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।