ISRO: ৩৫০ কেজি হবে চন্দ্রযান ৪-এর রোভারের ওজন! আর কী কী জানাল ইসরো?
চন্দ্রযান-৪ এর রোভার হবে প্রজ্ঞানের চেয়েও ভারী। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান অভিযান ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য মহাকাশ বিজ্ঞানে ইসরোর মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছে। এবার পালা চন্দ্রযান ৪-এর (Chandrayaan-4)। স্বাভাবিক ভাবেই আরও আধুনিক হতে চলেছে এই অভিযান। ইসরো (ISRO) সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান ৩-এর রোভার ‘প্রজ্ঞান’-এর চেয়ে ১২ গুণ বেশি হবে চন্দ্রযান ৪-এর রোভারের ওজন।
ইসরো জানিয়েছে, আনুমানিক ৩৫০ কেজি হবে চন্দ্রযান ৪-এর রোভারের ওজন। চন্দ্রযান ৪ অভিযানের (Chandrayaan-4) জন্য জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিছু কাজ সারতে চাইছে ইসরো (ISRO)। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের (SAC) পরিচালক নিলেশ দেশাই বলেন, ‘‘চন্দ্রযান ৪ মিশনের রোভারটির ওজন হবে ৩৫০ কেজি, যা আগের রোভারটির চেয়ে ১২ গুণ বেশি।’’ তিনি আরও জানান, এর মাধ্যমে ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আসবে, যেখানে নতুন রোভারটি চন্দ্রপৃষ্ঠে আরও ব্যাপকভাবে অনুসন্ধান চালাতে সক্ষম হবে। চন্দ্রযান ৪ মিশনটি শুধু চাঁদে অবতরণ করবে না, বরং চাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েও কাজ করছে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা ভারতকে বিশ্বের এমন কয়েকটি দেশের তালিকায় স্থান দেবে, যারা এ ধরনের জটিল মহাকাশ কার্যক্রম সম্পাদন করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: শুক্রযান, চন্দ্রযান ৪, গগনযান অভিযান ও মহাকাশ স্টেশন উদ্বোধনের সময়সূচি প্রকাশ ইসরোর
রোভারটির ওজন বৃদ্ধির ফলে এটি আরও বড় বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করতে পারবে এবং এর অনুসন্ধান এলাকা হবে অনেক বড়। যেখানে প্রজ্ঞান রোভার ৫০০ মিটার x ৫০০ মিটার এলাকা আবিষ্কার করেছিল, নতুন রোভারটি প্রায় ১ কিলোমিটার x ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে গবেষণা চালাতে সক্ষম হবে। এছাড়াও দেশাই জানান, চন্দ্রযান ৩ দক্ষিণ মেরুর ৬৯.৩ ডিগ্রিতে অবতরণ করেছিল। ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর পেট থেকে বেরিয়ে সেখানে চাঁদের মাটিতে চাকা গড়িয়েছিল রোভার প্রজ্ঞানের। কিন্তু চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan-4) একেবারে ঠিক করা স্থানেই অবতরণ করবে ভারতের ল্যান্ডার। আর তা হবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর একদম ৯০ ডিগ্রি বিন্দু। দেশাই আরও বলেন, ‘‘যদি সরকারের অনুমোদন পাই, তবে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে মিশনটি বাস্তবায়ন করতে পারব।’’ তবে ইসরোর (ISRO) অপর এক সূত্রের খবর, এই অভিযান ২০২৭ সালের মধ্যেই করার চেষ্টা চলছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।