সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণায় জানা গিয়েছে, পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোরটি ঘূর্ণন বন্ধ করে দিয়েছে...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর দাবি বিজ্ঞানীদের! পৃথিবীর কেন্দ্রে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণন। ভূ-বিজ্ঞানীরা বলছেন, দিক পরিবর্তন করে এবার বিপরীত দিকে হতে পারে ঘূর্ণন! এই ঘটনা নাকি তারই ইঙ্গিত! বিজ্ঞানীরা বলছেন দিক পরিবর্তনের সময়েই পৃথিবীরের অভ্যন্তরীণ কোরের ঘূর্ণন (Earths Inner Core) বন্ধ হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০০৯ সালেও হয়েছিল এমন ঘটনা। তখন পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোরের ঘূর্ণন (Earths Inner Core) থেমে গিয়েছিল। পরে তা বিপরীত দিকে ঘুরে যায়। ১৪ বছর পর আবারও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পৃথিবীর ভূগর্ভে কী চলছে ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের সময়ই আমরা তা অনুভব করতে পারি।
সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণায় জানা গিয়েছে, পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোরটি ঘূর্ণন (Earths Inner Core) বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বিপরীত দিকে হতে চলেছে ঘূর্ণন অভিমুখ। বিজ্ঞানীদের মতে অভ্যন্তরীণ কোরটি পৃথিবী পৃষ্ঠের সাপেক্ষে সামনে বা পিছনে ঠিক দোলনের মতো ঘুরতে থাকে। দোলনের একটি চক্রের সময় প্রায় ৭০ বছর। অর্থাৎ ৩৫ বছরে দিক পরিবর্তন করার কথা এই দোলনের। এটি পূর্বে ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে পরিবর্তিত হয়েছিল, গাণিতিক হিসাবে পরবর্তী ২০৪০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিক পরিবর্তন করার কথা এটির। ১৯৩৬ সালে পৃথিবীর আভ্যন্তরীণ কোর নিয়ে অনেক তথ্যই পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা ভূমিকম্প থেকে উৎপন্ন তরঙ্গ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময়ই তা জানতে পেরেছিলেন। গবেষকদের মতে ভূমিকম্পের তরঙ্গ সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ভ্রমণ করে। চিনের পিকিং ইউনিভার্সিটির একটি দল ১৯৯৫ এবং ২০২১ সালের মধ্যে বেশিরভাগ ভূমিকম্প বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ২০০৯ সালের কাছাকাছি কোনও এক সময় কোরটি ঘূর্ণন বন্ধ করে দেয় এবং ঘূর্ণনের (Earths Inner Core) দিক পরিবর্তন করে। গবেষকরা বলছেন, পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘূর্ণন দিনের দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত এবং এই ঘূর্ণন পৃথিবীকে তার অক্ষের উপর ঘুরতেও সাহায্য করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: