আফ্রিকান হাতিরা তাদের বাচ্চাদের নামও রাখে এবং সেই নামেই সম্বোধন করে, উঠে এল নয়া গবেষণায়
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতিদেরও (Elephant Voice) নাম রয়েছে এবং তারা একে অপরকে সেই নামেই সম্বোধন করে। নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময় করে। সম্প্রতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিজ্ঞানীরা এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন। অর্থাৎ হাতিদের ভাব বিনিময় ঠিক একেবারে মানুষের মতোই এবং তা অন্যান্য প্রাণীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। চলতি জুন মাসের ১০ তারিখ নেচার জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিল। সেখানেই উল্লেখ করা হয় যে আফ্রিকা মহাদেশের হাতিরা একে অপরকে আলাদা আলাদা ভাবে নির্দিষ্ট নামে ডেকে সম্মোধন করে ও ভাব বিনিময় করে। প্রসঙ্গত, এই সংক্রান্ত গবেষণাটি চালান কলরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির বেশ কিছু প্রাক্তনী।
আরও চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়, আফ্রিকান হাতিরা তাদের বাচ্চাদের নামও রাখে এবং সেই নামে সম্বোধন করে। তাদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে। শুধু তাই নয়, এই নামগুলি সঙ্গে মানুষের দেওয়া নামের যথেষ্ট মিল রয়েছে বলে দাবি গবেষকদের। হাতিদের ডাকার নাম ধরে এক হাতি অপর হাতিকে ঠিক চিনতেও পারে। গবেষকদের আরও দাবি, কখনও কখনও একটি হাতি যখন অন্য হাতির দলকে ডাকে, তখন সবাই একসঙ্গে সাড়া দেয় কিন্তু যখন সেই একই হাতি (Elephant Voice) নির্দিষ্ট হাতির উদ্দেশে ডাক দেয় তখন শুধু সেই হাতিই সাড়া দেয়।
এই গবেষণায় গবেষকরা আফ্রিকা মহাদেশের অ্যাম্বসেলি ন্যাশনাল পার্ক রিজার্ভের ১০০টিরও বেশি হাতির (Elephant Voice) কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ হাতিই তাদের ভোকাল কর্ডকে ব্যবহার করে ডাকাডাকি করতে। ওই কণ্ঠস্বরকে বিশ্লেষণ করে আরও জানা গিয়েছে যে হাতির ডাকগুলিতে একটি নাম সদৃশ উপাদান রয়েছে যা একটি মাত্র নির্দিষ্ট হাতিকেই চিহ্নিত করেন।
কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রাক্তনী তথা গবেষক মিকি পারডোর মতে, হাতিরা একে অপরকে ব্যক্তি হিসেবে সম্বোধন করে যা তাদের মধ্যে একটি সামাজিক বন্ধন তৈরি করে। দূরবর্তী হাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তারা নির্দিষ্ট কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে এবং এটি অনেকটা মানুষের মতোই। গবেষকদের এও দাবি যে নতুন এই সমীক্ষা তুলে ধরে যে হাতিরা ঠিক কতটা বুদ্ধিমান! গবেষকরা হাতির (Elephant Voice) গর্জনের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনিয়েছিল ১৭টি হাতিদের একটি দলকে। তখন দেখা যায় নির্দিষ্ট কিছু শব্দতে আলাদা আলাদা হাতি প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে এবং অন্যান্য হাতির দিকে তাকাচ্ছে।
কৌতূহল জাগছে তবে কি মানুষ একদিন হাতির (Elephant Voice) সঙ্গে কথা বলতে পারবে? এনিয়ে অবশ্য গবেষকরা বলছেন, এটি যদি হয় তাহলে তা অবশ্যই চমৎকার বিষয় হবে। তবে এখনও তা থেকে আমরা অনেকটা দূরে আছি। কারণ আমরা এখনও মৌলিক উপাদানগুলি জানিনা যার দ্বারা হাতির কণ্ঠস্বরের তথ্য এনকোড করে। আগে হাতিকে বোঝানোর মত কণ্ঠস্বর তথ্যকে এনকোড করতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।